উপসাগরীয় দেশগুলোর কূটনীতিতে ইরানকে রাখতে কাতারের আহ্বান

উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর কূটনীতিতে ইরানকে রাখতে আহ্বান জানিয়েছে কাতার। সৌদি আরবের নেতৃত্বে পাঁচ আরব প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হাতে তিন বছরেরও বেশি সময় অবরোধ থেকে মুক্ত হওয়া দেশটি মধ্যস্থতারও প্রস্তাব দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছিলেন, উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের কূটনৈতিক টানাপোড়েনে গ্যাস সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হলে বিশ্ববাজারে বেড়ে যেতে পারে গ্যাসের দাম। লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাসের (এলএনজি) সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ কাতার। প্রতিবছর ৭৭ মিলিয়ন টন গ্যাস উৎপাদন করে দেশটি।বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে কাতার ও ইরানের যৌথ জলসীমায়। কাতারের মধ্যে পড়েছে বড় অংশ। কাতারি অংশে এই গ্যাসক্ষেত্রের নাম ‘নর্থ ডোম’। আর ইরানি অংশে এর নাম ‘সাউথ পার্স’। দুই দেশের জলসীমায় ভাগাভাগি হলেও বিশ্বে এনএনজির চাহিদার অধিকাংশ আসে এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে। ব্যাপক গ্যাসের মজুত ও এর ব্যবহার করে বিশ্বের ধনী দেশে পরিণত হয়েছে কাতার। এই গ্যাসের কারণেই মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেছে দেশটি। গ্যাস বিক্রির অর্থে গড়ে তুলেছে আধুনিক স্থাপনা ও অবকাঠামো।
২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন করছে তারা। এ লক্ষে অবকাঠামো খাতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে কাতার।পাঁচ আরব দেশ কাতারের উপর থেকে অবরোধ তুলে নেবার পর কাতার পেট্রোলিয়াম জোর দিয়ে বলেছে, কাতারের সঙ্গে উপসাগরীয় আবর দেশগুলোর কূটনৈতিক সংকট থাকাকালীনও গ্যাস উৎপাদনে কোন প্রভাব পড়েনি।তারপরও কাতার কয়েক বছর ধরে ইরানের সঙ্গে উপসাগরীয় দেশগুলোর আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছে। আরব দেশগুলো ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তির জন্য দায়ী করে আসছে।
তবে তেহরান এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি সোমবার ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তার সরকার এটি হওয়ার বিষয়ে খুব আশাবাদী।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এটি হওয়া উচিত।এটি উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের আলোচনা হওয়ারআকাঙ্খা।তবে সৌদি আরব এখন পর্যন্ত ইরানের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছার বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো ইঙ্গিত দেয়নি।