গাঁ’জা দিয়ে ব্যবসায়ীকে ফাঁ’সা’নো’র চে’ষ্টা

‘গাঁ’জাসহ একজন জনতার হাতে ধরা’- সাংবাদিক পরিচয়ে স্থানীয় পুলিশের ওসিকে এ খবর দেন একজন। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে ধ’রেও। এরপরই বের হয়ে আসে আসল ঘটনা। জানা যায়, সাংবাদিক নামধারী এক ব্যক্তি অন্যের হয়ে নি’রী’হ ওই ব্যবসায়ীকে গাঁ’জা দিয়ে ফাঁ’সা’নো’র চে’ষ্টা ক’রছিলেন। পরে ব্যবসায়ীকে ছে’ড়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু উ’ত্তে’জি’ত জনতার হা’তে মা’র খে’য়ে পা’লি’য়ে গিয়ে নিজেকে র’ক্ষা করেন সাংবাদিক নামধারী ওই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের খামারগাঁও এলাকায়।
গাঁ’জা দিয়ে ফাঁ’সা’নো’র চে’ষ্টা করা হয় মো. আবুল বাসার নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে। তিনি কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের হারারকান্দি গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। আবুল জানান, তিনি নান্দাইল উপজেলার খামারগাঁও গ্রামের মামুদ আলীর ছেলে চা-দোকানি জামাল উদ্দিনের কাছে ৫০ হাজার টাকা পান। পা’ওনা টাকা প’রি’শো’ধ করার কথা বলে বৃহস্পতিবার জামাল তাঁকে তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানায়। তিনি তার কথা মতো দুপুরে বাড়িতে পৌঁছার পর জামাল তাঁকে মধ্যহ্ন ভোজে অংশ নিতে বলে। একপর্যায়ে পী’ড়া’পী’ড়ি করে তাঁকে ঘরের ভেতরে নেওয়া হয়। ঘরে প্রবেশের পর এক অপরিচিত ব্যক্তি তাঁর দিকে একটি পু’টলি নি’ক্ষে’প করে বলতে থাকে ‘তুই গাঁ’জা’র ব্যবসা করিস’। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম পরিচয় দিয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণসহ বিভিন্ন জায়গায় ফোন করতে থাকেন। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে তিনি দ্রু’ত ঘর থেকে বের চান। কিন্তু জামাল ও কথিত সাংবাদিক তাঁকে বা’ধা দিতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে বাড়ির উঠোনে পু’লিশ দেখতে পান।
গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, আবুল বাশার একজন মাছ ব্যবসায়ী। পা’ওনা টাকা চাইতে তিনি আগেও বেশ কয়েকবার এই গ্রামে এসেছেন। জামালের দোকানেও এসেছেন। তাঁকে গাঁ’জা’র পু’টলি দিয়ে ফাঁ’সা’নো’র চে’ষ্টা করে সাংবাদিক নামধারী জহিরুল ইসলাম। ঘটনা জানতে পেরে গ্রামবাসী ক্ষি’প্ত হয়। পরে তাকে ধা’ও’য়া করে ধরে উত্তম-মধ্যম দিলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যা’গ করে র’ক্ষা পান।
জহিরুল নিজেকে সাংবাদিক দা’বি করলেও পাশপাশি ‘শাহী চা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় প্রতিনিধির চাকরি করেন বলে জানান। তিনি নান্দাইল উপজেলার রসুলপুর গ্রামের কনু মিয়ার ছেলে। তিনি বলেন, আমি বাজারে বাজারে চা বিক্রি করি। ওই স্থানে এসে জানতে পারি গাঁ’জা’স’হ একজনকে ধ’রা হয়েছে। পরে থানায় খবর দেই। তাছাড়া আমাকে কেউ মা’রে’নি।
নান্দাইল থানার ওসি তদন্ত আবুল হাসেম বলেন, দুপুরে সাংবাদিক পরিচয়ে একজন ফোন করে গাঁ’জা’সহ একজনকে ধরার তথ্য দেন। পরে সেখানে একজন অফিসারকে পাঠানো হয়েছিল। পরে জানা যায় ঘটনাটি ‘মেকিং’। তবে এক পু’ট’লা গাঁ’জা উ’দ্ধার করা হয়েছে।