নাম মিলে যাওয়ায় জেল খাটছে নিরীহ ব্যবসায়ী জাহেদ!

Dec 8, 2020 / 11:46pm
নাম মিলে যাওয়ায় জেল খাটছে নিরীহ ব্যবসায়ী জাহেদ!

ওয়ারেন্টভূক্ত আসল অ’প’রা’ধী’র সঙ্গে নিজের নাম ও বাবার নাম মিল থাকার সুযোগ নি’য়ে অ’প’রা’ধী’কে ‘বাঁ’চি’য়ে দিতে’ নি’রী’হ এক ব্যবসায়ীকে ‘অ’প’রা’ধী’ সা’জি’য়ে জে’লে পা’ঠি’য়ে’ছে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ। অ’থচ মায়ের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র ভিন্ন।

ওই দুজনেরই বাড়ি একই ইউনিয়নে। গত ৫ ডিসেম্বর শনিবার রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নে ঘ’টেছে এ’মন কা’ণ্ড।

খোঁ’জ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার রাতে হাটহাজারী মডেল থানার এএসআই আবুল কালাম প্র’কৃ’ত আ’সা’মি’র ব’দ’লে উপজেলার ধলই ইউনিয়নের পশ্চিম ধলই এলাকার ছোটকা মজুমদার বাড়ির ফরিদুল আলম এবং হালিমা বেগম পুত্র ব্যবসায়ী জাহেদুল আলম আ’ট’ক করে। পরে তাকে জে’লে পা’ঠিয়ে দিয়েছে। হাটহাজারীর সিটি সেন্টারে জাহেদুল আলমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

তার পরিবারের অ’ভি’যো’গ, প্র’কৃত আ’সা’মি ব’ড় অং’কের টা’কা নিয়ে তাকে বাঁ’চা’তে’ই পুলিশ এমন কা’ণ্ড করেছে। আ’ট’কে’র সময় বহুবার অ’নু’রো’ধ করলেও পুলিশ কোনো ধ’রণের ক’র্ণপাত ক’রেনি।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ পতেঙ্গা এলাকায় এমএস ব্রাইড সোপ ফ্যাক্টরির মালিক জাহিদুল আলম। তিনি ওই ফ্যাক্টরির নামে ইসলামী ব্যাংক হালিশহর শাখা থেকে ৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। খে’লাপি হওয়ায় ২০১৮ সালে জাহিদুল আলমের বি’রু’দ্ধে একটি সিআর মা’ম’লা দা’য়ে’র করেন ইসলামী ব্যাংক হালিশহর শাখার জুনিয়র অফিসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এ মা’ম’লা’য় জাহিদুলকে এক বছরের সা’জা দেন চট্টগ্রামের প্রথম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক।

এর আগে ২০১৬ সালে ১১ লাখ টাকা পাওনা আদায়ের জন্য জাহিদুল আলমের বি’রু’দ্ধে অ’পর একটি মা’ম’লা করেন চান্দগাঁও এলাকার হাজী আজগর আলী মার্কেটের সোহা এন্টারপ্রাইজের মালিক আবু বক্কর সিদ্দিকী। এই মা’ম’লা’য়’ও জাহিদুলকে দুই মাসের সা’জা দেন আদালত। দুই মা’ম’লা’তেই গত বছরের ৩০ মে জাহিদুলের বি’রু’দ্ধে ওয়ারেন্ট জা’রি করেন আদালত। ওই ওয়ারেন্টের কপি হাটহাজারী থানায় পাঠানো হয়।

দুই মা’ম’লা’র’ই ওয়ারেন্টভূক্ত আ’সা’মি মো. জাহিদুল আলমের পিতা ফরিদ আহমদ এবং মাতা ফরিদা আক্তার। তার বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট পশ্চিম ধলই এলাকায় হলেও বর্তমানে সে ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ আবাসিক এলাকায় বসবাস করছে।

নামের মিলে জেলে যাওয়া মো. জাহেদুল আলমের আইনজীবী মোহাম্মদ এমরান নাঈম বলেন, ইসলামী ব্যাংক হালিশহর শাখা থেকে প্রকৃত আ’সা’মি’র জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্টিফাইড কপি আনা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, ওয়ারেন্টের ব্যক্তির ছবির সঙ্গে গ্রে’ফ’তা’র হওয়া ব্যক্তির চেহারার কো’নো মি’ল নে’ই। দুজনের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরও আলাদা। নামেই শুধু আংশিক মিল। স্থায়ী ঠিকানা ও বাবার নাম মিল থাকলেও মায়ের নামের মি’ল নে’ই। অথচ ব্যাংকের সাথে প্র’তা’র’ণা না করেও জে’ল খা’ট’ছে জাহেদুল আলম।

ঘটনার স’ত্য’তা জানতে চাইলে অ’ভি’যু’ক্ত এএসআই আবুল কালাম জে’লে থাকার জাহেদকে আ’ট’কে’র সময় তার পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে কোনো কিছু জানায়নি।

হাটহাজারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ মনে করেছে এ লোক ওয়ারেন্টভুক্ত সেই লোক। তাই তাকে গ্রে’ফ’তা’র করা হয়েছে। ওই লোক আসল অ’প’রা’ধী না হলে অবশ্যই ছাড়া পাবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।