সরকার পুলিশকে দলীয় ক্যাডারের মতো ব্যবহার করছে : ফখরুল

ভোর রাতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিভিন্ন দাবিতে অবস্থান ও অনশনরত শিক্ষক, গার্মেন্টকর্মী, শিক্ষানবিশ আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ঘুমন্ত মানুষদের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নি’র্মম ও পৈশাচিক পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার আ;ন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ভোর রাতে অতর্কিত বর্বরোচিত হামলা চালায়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে পুলিশ অতর্কিতে গরম পানি, লাঠিচার্জ ও বুটের লাথিতে ঘুমন্ত অবস্থান ও অনশনরত মানুষগুলোকে রক্তাক্ত করেছে, এই কাপুরুষোচিত হা’মলা থেকে নারী শ্রমিকরাও রক্ষা পায়নি।
সরকার এতোটাই বেপরোয়া ও অসহিষ্ণু যে, সাধারণ শ্রেণি-পেশার মানুষদের যৌক্তিক দাবিগুলোও শুনতে নারাজ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সীমিত আকারে মতো প্রকাশের সুযোগটিও সরকার ছিনিয়ে নিল পুলিশকে ব্যবহার করে।
মহামারী করোনার প্রবল ঝুঁকি সত্বেও শিক্ষক, পোশাক শ্রমিক, শিক্ষানবিশ আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষগুলোর যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করাতো দূরে থাক, উল্টো তাদের রক্তাক্ত করা হলো।
তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীকে দলীয় ক্যাডারের মতো ব্যবহার করে জনগণের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং দেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে সরকার। গণবিচ্ছিন্ন, কর্তৃত্ববাদী অনৈতিক সরকার কখনো জনগণের কোনো দাবিকেই তোয়াক্কা করে না-বার বার সরকার এটাই প্রমাণ করল।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অবিলম্বে তাজরিন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, শিক্ষক ও আইনজীবীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া এবং ঢাকায় অবাধে সুষ্ঠু রাজনীতির অধিকার চর্চায় ও দাবি-দাওয়া উত্থাপনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে অবাধ মত প্রকাশের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন