দিনে বাড়ির আঙ্গিনায়, রাতে গোয়াল ঘরে শি’কলে ব’ন্দি জামালপুরের সোহেল

ধুলোবালি মাখা শরীর, পায়ে লোহার শি;kল দিয়ে বেঁ;ধে রাখা হ;য়েছে বাড়ির আঙ্গিনায় একটি পিলা;রের সাথে। শুধু মায়াভরা
দু’টি চোখ দিয়ে ফ্যাল-ফ্যাল করে এদিক-ওদিক তাকিয়ে থাকে। এই তীব্র শীতে পরনে পাতলা কাপ;ড়ের একটি শার্ট ও লুঙ্গি। শীতে শরীর কা;টা কাটা হয়ে উঠেছে।
জামালপুরে মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের খাঁয়ের পাড়া গ্রামের মৃ;ত আবু বক্কর ছেলে মানসিক ভা;রসা;ম্য;হীন সোহেল (২৩) এভাবেই কাটছে তার জীবন।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির আঙ্গিনায় একটি পিলারের সাথে শি;কল পায়ে মাটি;তে বসে আছে সোহেল।
জানা গেছে, দিনে পিলারের সঙ্গে শিকলে বেঁ;ধে আর রাতে গোয়াল ঘরের চৌ;কির সঙ্গে বেঁ;ধে রাখা হয় সোহেলকে। প্রায় ১৩ বছর ধরে শিকল;ব;ন্দি জীবন কাটছে সোহেল।
সোহেলের মা বলেন, সোহেলের যখন সাত বছর বয়স হঠাৎ করেই তার খুব জ্বর আসে। চিকিৎসার পরে জ্বর ভালো হয়, তারপর থেকেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে থাকে সোহেল। এরপর জামালপুর হাসপাতলে চিকিৎসা করা হয়,
তারপর থেকে আরো বেশি হতে থাকে। পারিবারিক অস্বচ্ছতার কারণে আর চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি সোহেলের। তার ১ বছর পর সোহেলকে আবার জামালপুর হাসপাতলে নিয়ে চিকিৎসা করা হয় কিছুদিন, টাকা পয়সা না থাকার কারণে সোহেলকে আবার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরো বলেন, তার বাবা মারা যাওয়ার পর পুরোপুরি চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। তার বয়স বর্তমানে ২৩ বছর। সম্পদ
বলতে ভিটে-মাটি ছাড়া আর কিছুই নেই। কেউ যদি আমার ছেলের চিকিৎসায় এগিয়ে আসতেন, তবে হয়তো সে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারতো।
ঘোষেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বলেন, সোহেলের পরিবারের এখন চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য নাই। সোহেল উন্নত চিকিৎসা করা হলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।