নায়িকাকে বিছানায় নেয়া হয় পানীয়তে কিছু মিশিয়ে!

প্রকাশিত: ডিসে ৪, ২০২০ / ১২:১৮অপরাহ্ণ
নায়িকাকে বিছানায় নেয়া হয় পানীয়তে কিছু মিশিয়ে!

অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও সরগরম বলিউড। একের পর এক উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রকাশ্যে কিংবা আড়ালে উচ্চারণ হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির অনেক নামিদামি ও প্রভাবশালীদের নাম।

এরইমধ্যে বলিউডে মা’দকচ’ক্র নিয়ে বো’মা ফাটালেন কঙ্গনা রানাওয়াত। অকপটে জানালেন মা’দকচ’ক্র নিয়ে তার ব্যক্তিগত জীবনের ভয়া’বহ অভিজ্ঞতার কথা। বরাবরই রাখঢাক না রেখেই কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন কঙ্গনা। এমনকি নিজের ক্ষেত্রেও। এবারও তার ব্যক্তিক্রম হলো।

ক’মাস আগেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘মানালি ছাড়ার সময় আমার বয়স ১৬ বছর। চণ্ডীগড়ে একটি প্রতিযোগিতায় জিতে এক সংস্থার মাধ্যমে মুম্বাই এসেছিলাম। কেরিয়ারের শুরুর দিকে হোস্টেলে থাকতাম। তারপর আন্টির সঙ্গে থাকি। তখন এক চরিত্র অভিনেতা আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে এবং বলিউডে কাজ ধরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।’

কঙ্গনা বলেন, ‘আমি যে নারীর সঙ্গে থাকতাম তার প্রতিও ওই অভিনেতা মুগ্ধ ছিলেন। তারপর আমরা তিনজনে একসঙ্গে থাকা শুরু করি। একসময় ওই অভিনেতা আন্টির সঙ্গে ঝগড়া করে তাকে বের করে দেন। আমার সব জিনিস একটা রুমে রেখে তালা লাগিয়ে দেয়। আমি তখন যাই করতাম, তাকে বলে করতে হতো। একপ্রকার গৃহবন্দি হয়ে পড়ি আমি।’

সেই ভয়া’বহ অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘ওই অভিনেতা আমায় বিভিন্ন পার্টিতে নিয়ে যেতেন। একদিন আমি নেশাগ্রস্ত বোধ করলাম, ওনার সঙ্গে ঘনিষ্ট হয়েছিলাম। সে মা’দক খাইয়ে আমাকে তার বিছানায় নেয়। পরে বুঝলাম, এটা স্বেচ্ছায় হয়নি। আমার পানীয়তে কিছু মেশানো হয়েছিল। এরপর থেকে ওই অভিনেতা আমার সঙ্গে স্বামীর মতো আচরণ শুরু করে। কিছু বললেই মা’রধর করতো। প্রতিবাদ জানিয়ে একদিন বলেছিলাম- ‘আপনি আমার বয়ফ্রেন্ড নন’। বলতেই সে আমাকে চটি দিয়ে মেরেছিলেন।’

তার ভয়া’বহ দিনগুলো এখানেই শেষ হয়নি। কঙ্গনা বলেন, ‘একটা সময় ওই অভিনেতা আমাকে দুবাইয়ের লোকদের সঙ্গে আলাপ করালেন। আমাকে বললেন, প্রবীণদের মাঝে যেন বসি, আর তিনি তখন ওই জায়গাটি ছেড়ে চলে যাবেন। আমাকে তাদের নম্বর নিতেও বলেছিলেন। আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। সন্দেহ হচ্ছিল- আমাকে দুবাই পাচার করে দেয়া হবে না তো?’

বি-টাউনের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘যখন আমি সিনেমায় সুযোগ পেলাম, উনি রেগে গেলেন। আমাকে ইনজেকশন দিয়ে বিদ্রুপ করে বললেন, আমি আর শ্যুটিংয়ে যেতে পারবো না। আমি পুরো ঘটনা আমার প্রথম ছবি ‘গ্যাংস্টার’র পরিচালক অনুরাগ বসুকে জানিয়েছিলাম। তখন তিনিই আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। অনুরাগ বসু রাতে আমাকে তার অফিসে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।’

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন