২ বছর বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেও বিল ২১ হাজার টাকা

জামালপুরের মাদারগঞ্জে দুই বছর ধরে বিদ্যুৎ ব্যবহার না করলেও এক ব্যক্তির নামে পল্লী বিদ্যুতের বিল এসেছে ২১ হাজার ৪৮৯ টাকা। এতে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার আদারভিটা বাজারে ছালাম সরকার রাইস মিল মালিক রাফিউল ইসলাম জানান, দুই বছর ধরে তার রাইস মিলটি চালানো হচ্ছে না। এই দুই বছর ধরে তিনি সর্বনিম্ন বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছেন। হঠাৎ করে অক্টোবর মাসে তার বিদ্যুৎ বিল আসে ২১ হাজার ৪৮৯ টাকা।
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিলিং সহযোগী সালমা আক্তার বলেন, একটি ভুল হয়েছে। লাইনম্যানরা যেভাবে রিডিং এনে দেন সেভাবেই বিল তৈরি করা হয়। পরে বিলটি সংশোধন করে ১ হাজার ৪৫৬ টাকা করা হয়েছে।
অপরদিকে উপজেলার হেমবাবাড়ি গ্রামের সেলিম নামে এক কৃষকের পল্লী বিদ্যুতের সেচ সংযোগে অক্টোবর মাসে ৪০ হাজার টাকার ভৌতিক বিল আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক অভিযোগ করেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন গ্রাহকদের কাছ থেকে এ ধরনের ভুয়া বিল আদায় করে পরে তা সংশোধন করে বাড়তি টাকা নিজেরাই পকেটে ভরছেন।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ মাদারগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম জসিম উদ্দিন বলেন, ভুলবশত হিসাব নম্বরের স্থলে রিডিং নাম্বার বসানোর কারণে ছালাম সরকার রাইস মিলের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল এসেছিল। ভুলটি সংশোধন করা হয়েছে।
গ্রাহকদের কাছ থেকে ভুয়া বিল আদায়ের পর তা সংশোধন করে অতিরিক্ত টাকা নিজেদের পকেটে ভরার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো সুযোগ নেই। অতিরিক্ত বিল আদায় হলেও তা গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টেই জমা থাকে।