তৃতীয় স্বামীকে যে কারণে ছাড়ছেন শ্রাবন্তী

পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে ২০০৩ সালে টালিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী গাঁটছড়া বাঁধেন। তাদের ঘরে ঝিনুক নামে একটি ছেলেও রয়েছে। রাজীবের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর মডেল ও ফটোগ্রাফার কৃষাণ ব্রজকে মনের সাম্রাজ্যের সম্রাট করেন শ্রাবন্তী। ২০১৬ সালে কৃষাণের সঙ্গে হওয়ার পর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে তাদের সংসার ভাঙে।
দ্বিতীয় ঘর ভাঙার পর নতুন প্রেমে মজেন শ্রাবন্তী। ভগ্নিপতির মাধ্যমে পরিচয় হওয়া বিমান সংস্থার এক কেবিন ক্রু রোশন সিংহকে গেল বছরের ১৯ এপ্রিল বিয়ে করেন টলিগঞ্জের এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী।
তবে রিয়েল লাইফে তার তৃতীয় সংসারটাও যে টিকছে না, গেল নভেম্বরের শুরুতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে বড় কলেবরেই এ খবর প্রকাশ হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই একসঙ্গে থাকছেন না শ্রাবন্তী ও রোশন, এমন খবরও বের হয়। চতুর্থ স্বামী হিসেবে কাকে বেছে নিচ্ছেন শ্রাবন্তী এ নিয়েও গুঞ্জন ভাসছে এখন।
ওই সময় শ্রাবন্তীর সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়ে রোশন সিং জানান, ‘হ্যাঁ, আমরা এখন এক ছাদের নিচে থাকছি না। তবে আমাদের অতীতের সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আমি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি নই।’
তৃতীয় স্বামীর সঙ্গে সংসারে ভাঙন প্রসঙ্গে শ্রাবন্তী তখন বলেন, ‘প্রতিটি বিবাহ বা সম্পর্ক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যায়। হতে পারে আমাদের সুখের সময় আপাতত শেষ। তবে এর অর্থ এই নয় যে আমাদের মধ্যে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমরা দুজনই আশা করি, শিগগিরই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠবো। আমরা আবার নতুন করে শুরু করবো।’
এবার সামনে এলো নায়িকা তৃতীয় ঘর ভাঙার রহস্য! জানা গেল, পারস্পরিক অনাস্থা ও অবিশ্বাস থেকেই আলাদা হচ্ছেন তারা।
সম্প্রতি শ্রাবন্তী নিজের মা-বাবার সঙ্গে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেন- ‘আমাকে সব অবস্থাই এরাই (মা-বাবা) সমর্থন জানিয়ে এসেছেন।’ ওই ছবিতে শ্রাবন্তীর সিঁথিতে জ্বলজ্বল করছিল লাল টুকটুকে সিঁদুর। এ নিয়েও কৌতুহল বেড়েছে ভক্তদের!
তবে রোশান সিংও চুপ থাকার পাত্র নন। শ্রাবন্তীর ওই পোস্টের পরই রোশান আত্মজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উক্তি ধার করে পাল্টা পোস্ট করে লিখেন- ‘সুখী দাম্পত্যেল চাবিকাঠি পারস্পরিক বিশ্বাসের মধ্যে লুকিয়ে। বিয়ের গুরুত্ব বোঝাতে সিঁদুর ভীষণ দুর্বল চিহ্ন।’
এমন উক্তির সমর্থনে অর্থপূর্ণ ক্যাপশনও লিখেন রোশন। তিনি লিখেন- ‘আমি পুরোপুরি সহমত। স্বামী বা প্রাক্তনের আপত্তি সত্ত্বেও কিছু নারী তার নামে জোর করে সিঁদুর পরে। এসব নারীদের আমি ভীষণ ঘৃণা করি।’