এমসি কলেজে ধর্ষণ: ডিএনএ টেস্টে ৪ জন জড়িত থাকার প্রমাণ

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় চারজনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে ডিএনএ টেস্টে। যে চারজনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে তারা হলেন- সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি ও অর্জুন লস্কর।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, রোববার ডিএনএ প্রতিবেদন পুলিশের হাতে এসে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, আলোচিত এ ঘটনার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও ডিএনএ প্রতিবেদন না আসায় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া এতদিন সম্ভব হয়নি। ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে আসায় দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে।
গত ১ ও ৩ অক্টোবর দুইদিনে এ মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এরা হলেন-মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন মিয়া, আইনুদ্দিন, মাহফুজুর রহমান ও তারিকুল ইসলাম তারেক।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে নববিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে গাড়িতে করে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন তার স্বামী। সেখানে যাওয়ার পর অভিযুক্তরা তাদের জোর করে কলেজ ছাত্রাবাসে নিয়ে আসে। করোনার কারণে বন্ধ থাকা ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মহানগরের শাহপরান থানায় মামলা করেন। ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।