মসজিদে প্রেমিকার সঙ্গে আপ’ত্তিকর অবস্থায় আটক ইমাম

বাঞ্ছারামপুরে মসজিদের কক্ষে তরুণীর সঙ্গে আপ’ত্তিকর অবস্থায় জনতার হাতে আটক হয়েছেন স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম। শনিবার উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের আশরাফবাদ গাউসুল আজম জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ইমামের নাম মোহাম্মদ আলী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পুরান কদমতলী গ্রামের মো. ফয়জুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনার পর পুলিশ মুচলেকা নিয়ে তার বড়ভাই আউয়ালের জিম্মায় ছেড়ে দেয় ইমামকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হোসেনপুর গ্রামের একজন মারা যাওয়ার পর মাইকে ঘোষণা দিতে এলাকাবাসী মসজিদে গিয়ে ইমামকে খোঁজ করতে থাকেন। পরে তাকে না পেয়ে মসজিদ ঘেঁষা ইমামের থাকার কক্ষের জানালার ফাঁক দিয়ে ইমাম মোহাম্মদ আলীকে আপ’ত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান তারা।
পরে ইমামের কক্ষে এলাকাবাসী এসে ধাক্কাধাক্কি করলে পরিস্থিতি খারাপ দেখে পেছনের দরজা দিয়ে মেয়েটিকে বের করে দেন তিনি। পরে এ ঘটনায় এলাকার লোকজনক জড়ো হয়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
ইমামের কক্ষে আসা মেয়েটি একই উপজেলার আসাদনগর গ্রামের বাসিন্দা। তারা দু’জনই অবিবাহিত। খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এসময় পুলিশ ইমামের ফেসবুক ইনবক্সে গিয়ে মেয়ের সাথে অনেক আপ’ত্তিকর কথাবার্তার তথ্য পায়। এ সময় কয়েকশ মানুষ মসজিদের সামনে ভিড় জমান। পরে মসজিদ কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে তাৎক্ষণিকভাবে ইমামকে বহিষ্কার করেন।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ সেলিম এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, একজন ইমাম এত নিকৃষ্ট হতে পারে ভাবতে পারছি না। তার মতো ইমামের পেছনে নামাজ পড়াটা উচিৎ হয়নি। তবে মসজিদ কমিটি এখন থেকে আর অবিবাহিত ইমাম নেবেন না বলে আমাকে জানিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মসজিদে যায়। এর আগে মেয়েটি পালিয়ে গেছেন।