‘প্রেমিক-প্রেমিকা’র ঝুলন্ত লা’শ মিলল ভাড়া বাসায়

মুন্সীগঞ্জে দ্বীপ্র মজুমদার জয় ও মিতু সরকার নামের পরকীয়া প্রেমিক যুগলের ঝুলন্ত লা’শ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে শহরের বাগমাহমুদালীপাড়ার ভাড়া বাসার একটি কক্ষ থেকে তাদের লা’শ উদ্ধার করা হয়।
নিহত দ্বীপ্র মজুমদার কুমিল্লা জেলার গজারিয়া গ্রামের মান্নান মজুমদারের ছেলে। সনাতন ধর্মাবলম্বী মিতু সরকারের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের ফুলতলা নমকান্দি গ্রামে। তিনি মুন্সীগঞ্জ শহরের বাগমাহমুদালীপাড়ার বাসিন্দা লিটন সরকারে স্ত্রী।
মিতু সরকারে পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মিতু সরকার ও দ্বীপ্র মজুমদার দুজনেরই সংসার ও সন্তান রয়েছে। তাদের মধ্যে প’রকীয়া সম্পর্ক চলছিল। দীপ্রর স্ত্রী থাকেন ঢাকায় আর মিতুর সঙ্গে তার স্বামীর কোনো সম্পর্ক নেই। তবে মিতু ও তার স্বামীর মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদও হয়নি।
মিতু তার মেয়েকে নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে থাকতেন। আর দীপ্র মাঝে মধ্যেই সেখানে আসতেন এবং একসঙ্গেই থাকতেন। তবে তাদের মধ্যেও আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক ছিল না বলে জানায় মিতুর পরিবার। তবে কী কারণে বা কেন এমন মৃ’ত্যু হয়েছে সেটা জানা যায়নি।
নিহত নারীর মা শেফালী রানী সরকার বলেন, মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে জয় ও মিতু তার সাত বছরের মেয়ে অমৃকাসহ বাসার একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে তাদের মধ্যে কী হয়েছে তা জানি না। ভোর ৬টার দিকে অমৃকা জানায়, তার মা মিতু ও চাচা দ্বীপ্র মজুমদার দুজনই মারা গেছেন।
সঙ্গে সঙ্গেই তাদের কক্ষে গিয়ে দেখি মেয়ে মিতু জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়ে আছে এবং দীপ্র সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁ’স লাগানো অবস্থায় ঝুলে আছে। দীপ্রকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁ’স দেয়া অবস্থায় দেখে নিচে নামিয়ে এনে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে দুজনের লা’শ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মো. আনিচুর রহমান জানান, খবর পেয়ে বাগমামুদালীপাড়ার একটি তিনতলা ভবনের নিচের তলার ভাড়া বাসা থেকে মিতু ও দীপ্রর লা’শ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের পর হ’ত্যার রহস্য উদঘাটন করা যাবে।