সিঙ্গাপুরে স’ন্ত্রা’সী কর্মকাণ্ডের অ’ভি’যো’গে বাংলাদেশি গ্রে’ফ’তা’র

স’ন্ত্রা’সী কর্মকাণ্ডের অ’ভি’যো’গে এক বাংলাদেশিকে গ্রে’ফ’তা’র করেছে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ। গত ২ নভেম্বর তাকে গ্রে’ফ’তা’র করা হলেও এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ বছর বয়সী আহমেদ ফয়সালকে ইন্টারনাল সিকিউরিটি আইনের অ’ধীনে স’ন্ত্রা’সী কার্যক্রমের অ’ভি’যো’গে গ্রে’ফ’তা’র করা হয়েছে। তবে সিঙ্গাপুরে আহমেদ ফয়সালের কোনও না’শ’ক’তা করার পরিকল্পনা ছিল কিনা, তদন্তকারীরা এমন কোনও তথ্য খুঁজে পাননি।
সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ফয়সাল একজন উ’গ্র’প’ন্থী। ধ’র্মের নামে স’শ’স্ত্র স’হিং’স’তা করার ই’চ্ছা রয়েছে তার।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,২০১৭ সাল থেকে সিঙ্গাপুরের একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে চাকরি করে আসছিল ফয়সাল। ২০১৮ থেকে আইসিসের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে উ’গ্র’বা’দী হয়ে পড়ে ওই ব্যক্তি। আইসিসের ইসলামিক খেলাফত প্র’তি’ষ্ঠার প্র’তি আগ্রহী হয়ে পড়ার কারণে সিরিয়া যেতে আগ্রহী ছিলেন তিনি। ফয়সালের বিশ্বাস তিনি যদি মা’রা যান,তবে শ’হীদ হয়ে যাবেন।
সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৯ সালের মাঝামাঝি ফয়সাল হায়াত তাহরির আল-সাম নামে উ’গ্র’বা’দী সংস্থার প্রতি আ’কৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং সিরিয়া-ভিত্তিক ওই সংস্থাকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। সামাজিক গণমাধ্যমে মিথ্যা অ্যাকাউন্ট খুলে স’হিং’স’তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মি’থ্যা প্র’চা’রণা চা’লাতেন ফয়সাল। এছাড়া তিনি আল-কায়দা ও সোমালিয়া-ভিত্তিক আল-শাহবাবের প্রতিও সহানুভূতিশীল।
ফয়সাল বিশ্বাস করেন মুসলিমদের দায়িত্ব হচ্ছে নি’র্যা’তি’ত’দে’র সাহায্য করতে স’হিং’স জি’হা’দ করা। এজন্য তিনি কাশ্মিরে যেতে চেয়েছিলেন। নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য তিনি অনলাইনে স’হিং’স ভিডিও দেখতেন।
প্রসঙ্গত,এর আগে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ ১৫ জন বাংলাদেশিকে গ্রে’ফ’তা’র করে দেশে ফেরত পাঠিয়েছিল।
এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানায়, বিষয়টি জানার পর তারা ঢাকায় রিপোর্ট পাঠিয়েছে। তবে দূতাবাস কর্মকর্তারা এখনও ফয়সালের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
নাম প্রকাশ না করে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, বুধবার (২৫ নভেম্বর) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আরও যোগাযোগ হবে। আমাদেরকে জানানো হয়েছে যে, নি’রা’প’ত্তা’র কারণে তাকে (ফয়সালকে) গ্রে’ফ’তা’র করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, যদি তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তবে তার সঙ্গে আমাদের দেখা করার প্রয়োজন নেই। আর এখানে যদি তার বি’চা’র হয়, তবে আমরা দেখা করবো।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন