গোল্ডেন মনিরের মা’ম’লা ডিবিতে হস্তান্তর

মা’দ’ক, অ’স্ত্র ও কোটি টাকাসহ র্যাবের হাতে গ্রে’ফ’তা’র মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন মনিরের’ বি’রু’দ্ধে দা’য়ের করা তিনটি মা’ম’লা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হ’স্তা’ন্ত’র করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে মামলা তিনটি ডিবি পুলিশের গুলশান বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম।
এর আগে গত ২২ নভেম্বর পৃথক তিন মা’ম’লা’য় গোল্ডেন মনিরের মোট ১৮ দিনের রি’মা’ন্ড ম’ঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিন অ’স্ত্র ও বিশেষ ক্ষ’মতা আইনের পৃথক দুই মা’ম’লা’য় ১৪ দিনের রি’মান্ড ম’ঞ্জু’র করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু বক্কর সিদ্দিক এবং মা’দ’ক দ্রব্য নি’য়ন্ত্রণ আ’ইনে ৪ দিনের রি’মা’ন্ড ম’ঞ্জু’র করেন বিচারক মাসুদ উর রহমান।
রি’মা’ন্ডে’র দ্বিতীয় দিন চলাকালীন সেই মা’ম’লা ডিবিতে হস্তান্তর করা হলো।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত গোল্ডেন মনিরের বাসায় অ’ভি’যা’ন চালিয়ে নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকা, চার লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ, একটি বিদেশি পি’স্ত’ল, কয়েক রাউন্ড গু’লি উ’দ্ধা’র করে র্যাব।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে তৎকালীন প্র’ভা’ব’শা’লী মন্ত্রী, গণপূর্ত ও রাজউকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপন করে মনির রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভূমি জা’লি’য়া’তি শুরু করেন। রাজধানীর বাড্ডা এলাকার রাজউকের ডিআইটি প্রজেক্টে প্র’তা’র’ণা’র মাধ্যমে অনেক প্লট নিজের করে নেন।
অ’বৈ’ধ’ভা’বে রাজউকের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দাফতরিক সিল ব্যবহার করে রাজউক পূর্বাচলে, বাড্ডায়, নিকুঞ্জে, উত্তরায় এবং কেরানীগঞ্জে বিপুল সংখ্যক প্লট করেন। বর্তমানে নামে-বেনামে দুই শতাধিক প্লটের অধিকারী।
মনিরের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার ওপর সম্পদের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব জানায়, নব্বইয়ের দশকে রাজধানীর গাউসিয়া মার্কেটে কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী ছিলেন মনির। এরপর মৌচাক মার্কেটে ক্রোকারিজের দোকানে চাকরি নেন। সেখান থেকে বি’তা’ড়িত হয়ে যুক্ত হন বিমানবন্দর কেন্দ্রিক লাগেজ পার্টি ও স্বর্ণের চোরাচালানে। পরিচিতি পান ‘গোল্ডেন মনির’ নামে।