আমাদের ভবিষ্যত ইউরোপের সঙ্গেই : এরদোগান

Nov 22, 2020 / 06:51pm
আমাদের ভবিষ্যত ইউরোপের সঙ্গেই : এরদোগান

ইউরোপের সঙ্গেই তুরস্কের ভবিষ্যত জড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান।

তিনি বলেন, ইউরোপ ছাড়া অন্য কোথাও নিয়ে আমাদের ভাবনা নেই। আমরা আমাদের দেখতে পাচ্ছি না। ইউরোপের সঙ্গেই আমাদের ভবিষ্যত।

রোববার ক্ষমতাসীন দলের কংগ্রেসে দেয়া এক ভিডিওবার্তায় এসব কথা বলেন। খবর এএফপির।

এরদোগান বলেন, আমরা আশা করি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের প্রতিশ্রুতি রাখবে। আমাদের প্রতি তাদের কোনো বৈষম্য করবে না। আমরা অন্তত চাইব তারা যেন আমাদের শত্রু দেশ হিসেবে গণ্য না করে।

এরদোগান জানান, তুরস্কের কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমন কোনো সমস্যা নেই যা রাজনৈতিক, কূটনৈতিক বা সংলাপের মাধ্যমে সমাধান সম্ভব নয়।

ভূমধ্যসাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে চালানো নিয়ে গ্রীসের সঙ্গে উত্তেজনার জেরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবরোধের মুখে রয়েছে তুরস্ক।

গত কয়েকমাস ধরে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বিভিন্ন ইস্যুতে তুরস্কের বিরুদ্ধে সরব ভূমিকা পালন করছেন। তিনি তুরস্কের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবরোধের জন্য নানামুখী প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।

নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসবে তুরস্ক

এর আগে শনিবার (২১ নভেম্বর) হ্যালিফ্যাক্স ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি ফোরামের এক অনুষ্ঠানে দেয়া ভিডিও বক্তব্যে এরদোগান বলেন, প্রাচ্য কিংবা পাশ্চাত্য কোথাও নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসবে না ইউরোপের মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্ক।

এরদোগান বলেছিলেন, প্রাচ্য কিংবা পাশ্চাত্য কোথাও আমাদের পিছু হটার সুযোগ নেই। ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি আমরা কখনও এশিয়া ও আফ্রিকাকে উপেক্ষা করতে পারি না।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, প্রাচ্যকে উপেক্ষা না করেই পাশ্চাত্যের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক রাখছে তুরস্ক।

এরদোগান আরও বলেন, ভৌগোলিকভাবে তুরস্ক একটি আফ্রিকান-ইউরেশীয় দেশ। ফলে কূটনৈতিকভাবে নিজেদের একটি সংকীর্ণ কাঠামোর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা আমাদের জন্য কেবল ভুলই নয়; এটি অসম্ভবও বটে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ন্যাটোতে আমাদের অবস্থানকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি। গত ৬৮ বছর ধরে আমরা এ জোটের সদস্য। তুরস্কের সীমান্ত ন্যাটোরও সীমান্ত।

এরদোগান বলেন, আফগানিস্তান, কসোভো, ইরাক, কৃষ্ণ সাগর, ভূমধ্যসাগর ও অন্যান্য অঞ্চলে ন্যাটো জোটের জন্য তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আঙ্কারা এক বিশাল বোঝা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে।

তুর্কি প্রেসিডেন্টের দাবি, সংকীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে বাস্তবতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ তুরস্ক কাউকে দেবে না।