নোবেলের এই ফেরাটাই কি চেয়েছিল ভক্তরা?

নোবেলের প্রত্যাবর্তন বলবেন কি? আসলে কী বলবেন এটা আপনার সিদ্ধান্ত। তার আগে গানটা শুনে নিতে হবে নিশ্চয়ই। শুনেছেন কী? ‘কী আগুন জ্বলছে বুকে জানে না কেউ তো জানে না, কী ব্যথায় পুড়ছি প্রতিদিন, বোঝে না কেউ তো বোঝে না…’ যেন সুরের গেম, যে গেমে হয়তো বিচূর্ণ হবে সব- না হলে মুখ থুবড়ে পড়বে।
জেমস কিংবা বাচ্চুর কাভার গেয়ে দুই বাংলায় তুমুল আলোচনায় আসা নোবেলের কাছে তেমনটাই খুঁজছিলেন শ্রোতারা। ২০০৬ সালের পর ব্যান্ড শ্রোতারা এক অর্থে ‘এতিম’ হয়ে পড়েন। কেননা এরপর ব্যান্ড বা আইয়ুব বাচ্চু জেমস, হাসান, খালিদ সেই অর্থে প্রকাশিত হননি না। নব্বইয়ের দশকের সেই শ্রোতারা শূন্য দশকের কয়েক বছরেই ‘অসহায়’ হয়ে পড়েন। কারণ ক্যাসেট থেকে বেরিয়ে সিডি, ডিভিডি যুগে দেশের মিউজিকের নতুন নতুন ধারা তৈরি হতে শুরু করে, সেই ধারায় ব্যান্ড মিক্সড স্তব্ধ হয়ে পড়ে।
এসব ভাবনা নব্বইয়ের দশকের শেষভাগে মূলধারার ব্যান্ড সংগীতে আসক্ত হওয়া বেশ কয়েকজন তরুণের। চট্টগ্রামের নাজমুস সাকিব, ফেনীর মাহমুদ, ঢাকার ইমতিয়াজ মাহমুদ তমাল- এদের মধ্যে কয়েকজন।
সেইসব তরুণ কিংবা সেইসব শ্রোতা তাদের আত্মার খোরাক কতটুকু জোগান দিতে পেরেছেন সময়ের কাছ থেকে, হয়তো জানা হয়ে ওঠেনি কারো। তবে নোবেলের কণ্ঠে দুই প্রজন্মের বড় অংশের শ্রোতারা একটা সেতুবন্ধনের সন্ধান পেয়েছিলেন। কিন্তু নোবেল নিজ হাতে সেই সেতুতে চিড় ধরান। একের পর এক সমালোচনা তৈরি করে নিজের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলেন। রবীন্দ্রসংগীত বদল চেয়ে পোস্ট দিয়ে তুমুল তোপের মুখে পড়েন সারেগামাপা থেকে বাঙালি শ্রোতাদের কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিতি পাওয়া নোবেল।
তবে নোবেলকে সাউন্ডটেক নতুনভাবে নাইন্টিজ ফ্লেভারে উপস্থাপন করতে চাইছে। সেই প্রচেষ্টার অংশ- ‘অভিনয়।’ সহজ কথার গানে নোবেল নিয়ে এসেছেন দুই প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য সুর। এটা সুরকার আহমেদ হুমায়ূনের বক্তব্য। হুমায়ূন বলেন, আমরা যেভাবে গান শুনে বড় হয়েছি, আমরা হয়তো এত দিনে বুঝেছি, কোন কোন কণ্ঠে কোন গান ধারণ করতে হবে। নোবেলের জন্য একটা গান বানানো সময়সাপেক্ষ বিষয়। প্রতিটি শব্দের সুরে বিশ্লেষণ ছিল। এক ঘণ্টায় এক লাখ মানুষ এই গান দেখেছেন। এক সপ্তাহের ফলাফলে বোঝা যাবে আমাদের চেষ্টা কতটুকু সফল হবে।’
সাউন্ডটেকের কর্ণধার সুলতান মাহমুদ বাবুল বলেন, ‘আমরা নোবেলকে তার জায়গায় ঠিক রেখে নতুনভাবে উপস্থাপন করব। নোবেল একজন সম্ভাবনাময় গায়ক। তার ভুলকে মার্জনা করে সঠিক নির্দেশনা দিলে সেই অনেক শূন্যতাকে পূর্ণ করতে পারবে।
নোবেলের অভিনয় গানের কথা লিখেছেন আহমেদ রিজভী। প্রকাশ হয়েছে সাউন্ডটেকের ব্যানার থেকে। সুরের পাশাপাশি মিউজিক কম্পোজিশন করেছেন আহমেদ হুমায়ূন। গানের মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন শাহরিয়ার পলক।