এখন কি হবে ইরাকের বাস্তুচ্যুতদের ?

আশ্রয়হারা মানুষদের জন্য স্থাপিত তাবুগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ইরাক সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর যাদের কোনো আশ্রয় এখন আর অবশিষ্ট নেই তাদের অবস্থা কি হবে, এমন শঙ্কা জেগেছে।
এই দশকে ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় আইএস এর উত্থানের পর সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। এ সংঘাতে ঘড়বাড়ি হারিয়ে বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। আইএসর প্রভাব কমার পর এ মানুষগুলোর এখন কি উপায় হবে সেই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন দিক থেকে।
আইএসের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হা’ম’লার পরিপ্রেক্ষিতে এখানকার অনেক মানুষ তাদের আশ্রয় ত্যাগ করে পালিয়ে এসে এসব তাবুতে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। এসব আশ্রয়কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পদক্ষেপে উ’দ্বে’গ প্রকাশ করা হয়েছে বিভিন্ন দাতা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকেও।
সংস্থাগুলো জানিয়েছে, যুদ্ধ শেষে এসব মানুষকে জীবনযাপনের জন্য দ্বিতীয় দফায় কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যার ফলে, এসব আশ্রয় শিবির বন্ধ করলে মানুষের ঠিকানা হবে কোথায়, এমন প্রশ্ন খুব জোরালো হচ্ছে।।
এসব শিবিরে আশ্রয় নেওয়াদের একজন উম্মে আহমেদ তার দুই সন্তান নিয়ে হাম্মাম আল-আলিল তাবুতে বসবাস করছিলেন ২০১৭ সাল থেকে। মসুলে আইএসবিরোধী মার্কিন বিমান হামলায় তাদের বাড়িঘর নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক সযবাদ মাধ্যমে ওই নারী বলছিলেন, আমার কোনো উপার্জন নেই। আমাদেরকে সাহায্য করবে এমন কেউ নেই। এই তাবুই আমাদের বাড়ি হয়েছে। মানসিক সমস্যাগ্রস্থ সন্তান দুটিকে নিয়ে কি করবেন তিনি ভেবে পাচ্ছেন না বলে জানান।
ইরাকে নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের কর্মকর্তা আহমাদ আজম বলেন, বাস্তুচ্যুতদের তাবু বন্ধ করে দেওয়া হলে প্রায় ১ লাখ মানুষ আশ্রয়হারা হবে। এ পাশাপাশি এখানে এক বিশাল মানবিক সংকট তৈরি হবে।
এছাড়া এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যদি কোনো কর্ম না পায় বা আশ্রয় না পায় তাহলে বিভিন্ন সন্ত্রসী গোষ্ঠীর সঙ্গে এদের নতুন করে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। সূত্র: রয়টার্স।