ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকরের দাবি

Nov 10, 2020 / 10:31am
ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকরের দাবি

প্রাথমিক তথ্যে মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি একটি ভ্যাকসিন মহামারি কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর ফল দিচ্ছে বলে জানা গেছে। কোম্পানি দুটির দাবি, ছয় দেশে ৪৩ হাজার ৫০০ মানুষের দেহে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালিয়ে প্রাথমিকভাবে এমন ফল পাওয়া গেছে। নিউইয়র্ক টাইমস ও দ্য গার্ডিয়ানের খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে যখন বিশ্বের অনেক দেশ হিমশিম খাচ্ছে তখন মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক এই সুখবর দিলো। তাদের মতে, তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে ৪৩ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবীর ওপর প্রয়োগ করে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই কাজ করেছে তাদের এই ভ্যাকসিন।

যৌথভাবে ভ্যাকসিনটির উদ্ভাবক কোম্পানি ফাইজার-বায়োএনটেক এই অগ্রগতিকে মানবতা ও বিজ্ঞানের জন্য ‘ঐতিহাসিক দিন’ হিসেবে অভিহিত করেছে। অন্য ভ্যাকসিনের মতো এটিরও দুটি ডোজ দিতে হয়। প্রথম ডোজের ২৮ দিন এবং দ্বিতীয় ডোজের সাত দিন পর বেশ ভাল প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করেছে এই ভ্যাকসিন। চলতি মাসের শেষ দিকে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের অনুমোদন পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করার পরিকল্পনা করছে কোম্পানি দুটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থার ঘোষণা অনুসারে, কোনো ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৫০ শতাংশ হলেই সেটির অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হবে। ফলে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনটি অনুমোদন পাওয়া অনেকটা নিশ্চিত।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথের ডিন ডা. আশীষ জাহা বলেন, ‘অনেকগুলো দেশ করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম, ৭০ ভাগ কার্যকরী কোনো ভ্যাকসিন হয়তো পাবো। কিন্তু ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের সাফল্যের খবরে এখন মনে হচ্ছে আমরা আরো ভাগ্যবান। এটি হয়তো আসতে আরো কিছুদিন সময় লাগতে পারে। তারপরও বলবো এটি বড় একটি সাফল্য।’

তবে, ভ্যাকসিন আবিষ্কার শেষ কথা নয়, প্রচুর পরিমাণে তা উৎপাদন আর সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াটাও বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুমান, ২০২০ সালে মধ্যেই বিশ্বব্যাপী তারা অন্তত পাঁচ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ এবং ২০২১ সালের মধ্যে ১৩০ কোটি ডোজ সরবরাহ করতে পারবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার আগেই ফাইজার ও বায়োএনটেকের পেছনে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।