লিভ টুগেদারের বৈধতা দিল আরব আমিরাত

Nov 10, 2020 / 12:00am
লিভ টুগেদারের বৈধতা দিল আরব আমিরাত

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ আরব আমিরাত লিভ টুগেদারকে বৈধতা দিয়েছে। এর অর্থ হল- এক সময়কার ক’ট্ট’র ইসলামি অনুশাসনের দেশটিতে এখন থেকে অবিবাহিত নারী-পুরুষ একসঙ্গে থাকতে পারবেন। আইনগতভাবে তাদেরকে কোনো ধরনের বাধার মুখে পড়তে হবে না।

একইসঙ্গে লাইসেন্স ছাড়া ম’দপানের সুযোগও দেয়া হয়েছে মানুষকে। খবর ডেইলি মেইল ও মেট্রো ডটকমের।

দেশটির ইসলামিক পারসোনাল ল’-তে পরিবর্তন আনার মধ্য দিয়ে এই দুটি সুযোগ দেয়া হয়েছে ২১ বছরের বেশি বয়সী মানুষের জন্য।

একইসঙ্গে কথিত ‘অনার কিলিং’-কে অ’প’রা’ধ হিসেবে বিবেচনা করার বিষয়টিও অনুমোদন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির আইনে এসব পরিবর্তন করা হয়েছে জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে।

উল্লেখ্য, আরব আমিরাতে বহু ধর্ম-বর্ণের লোকের বসবাস রয়েছে। তবে দেশটি মূলত আরব মুসলিমের বাসস্থান ও তাদের শা’স’নাধীন।

সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইল-আরব আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হয়। এরপরই ইসরাইলের কাছ থেকে বিনিয়োগ ও পর্যটক আকর্ষণের চেষ্টা করছে মুসলিম দেশটি।

সরকার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর দ্রুত এ আইন কার্যকর হচ্ছে। এখন থেকে মা’দ’ব’দ্রব্য ও ম’দ’পা’ন, বিক্রি ও মালিকানায় রাখার কারণে কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।

এ ছাড়া ২১ বছরের বেশি বয়সী অবিবাহিত নারী-পুরুষ আত্মীয় হোক বা না-হোক, একসঙ্গে বসবাসের ক্ষেত্রে কোনো জবাবদিহির মধ্যে পড়তে হবে না।

শনিবার মুসলিম ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আইনে পরিবর্তনের এসব ঘোষণা দেয়া হয় আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে।

এতদিন আমিরাতের আইনে লাইসেন্স ছাড়া ম’দ ও মা’দ’ক রাখা এবং বিক্রির দায়ে ধরা পড়লে শাস্তির মুখে পড়ার বিধান ছিল। এ জন্য অন্তত ৮০টি বে’ত্রা’ঘা’তে’র বিধান ছিল। অবশ্য এ ধরনের শা’স্তি বাস্তবায়নের ঘটনা দেখা গেছে খুবই কম।

এ ছাড়া বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক করা ও একসঙ্গে বসবাসের ক্ষেত্রেও নারী-পুরুষকে কয়েক মাসের জেল দেয়ার বিধান ছিল ইসলামিক পারিবারিক আইন অনুযায়ী। তবে ব্যভিচারের সন্দেহ না হলে কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে তদন্তে যেত না।

আমিরাতের অনেক স্থানেই কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে অন্ধ থাকার ভান ধরত। যেমন: দুবাইয়ের মতো শহরগুলোয় হোটেলে অবিবাহিত নারী-পুরষের একসঙ্গে থাকার বিষয়ে কোনো বা’ধা দেয়া হতো না।

আরব আমিরাতে বসবাসকারী বিদেশিদের ক্ষেত্রে এখন থেকে বিবাহবিচ্ছেদ ও উত্তরাধীকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোয় স্থানীয় আইনের পরিবর্তে বাদী-বিবাদীদের নিজ দেশের আইন অনুসরণ করা হবে।

এটি দেশটিতে বসবাসকারী লাখো বিদেশির জন্য বড় খবর। আরব আমিরাতে বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা দেশটির মূল অধিবাসীদের ১০ গুণ।