কুয়েতে বাংলাদেশিরা ঘরে বসে ঈদ উদযাপন

‘মহা’মা’রির সময়ে আমাদের জীবনে বয়ে এলো ব্যতিক্রমর্ধমী এক ঈদ। আমরা খুবই আতংকিত, এই ঈদে আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখাও করতে পারলাম না। ভয়ে ভয়ে ঘরে বসে ঈদ উদযাপন করেছি’।
কথাগুলো বলছিলেন কুয়েত প্রবাসী শিক্ষিকা নাসিমা সরকার। তিনি বলেন, আমাদের পরিবারের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সরকারের নীতিমালা মেনেই চলতে হবে। প্রতিবারই তো আনন্দ করি, এবার না হয় আনন্দটা ঘরেই হলো।
অপর এক প্রবাসী গোলাম আজম বলেন, করোনার কারণে কুয়েত প্রবাসীদের সময় অনেক খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কাটছে। আমাদের পরিবারের মাঝেও ঈদের কোনও আনন্দ-খুশি নেই। কারণ আমরা এইবার ঈদে পরিবারের খরচের টাকা সময় মতো দিতে পারিনি। ভিন্ন রকম এক ঈদ পালন করতে হয়েছে।
প্রতিবছর আনন্দের বার্তা নিয়ে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর আসে। কিন্তু এবার ঈদের পরিবেশ পরিস্থিতি পুরোপুরিই ভিন্ন। যে ঈদকে ঘিরে প্রবাসীদের মনে নিজের ও পরিবারের জন্য নানা রকম স্বপ্ন ও আনন্দ। এই বৈশ্বিক মহা’মা’রির কারণে প্রবাসীদের সেই স্বপ্ন বিষাদে পরিণত হয়েছে।
প্রতিবার তারাবির ও ঈদের নামাজ মসজিদে পড়লেও এই বছর স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৭ মিনিটে সবাই নিজ নিজ বাসায় একা একা কেউ কেউ কয়েকজন মিলে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
শ্রমিকদের বেরাকের বাসার ছাদে নিজেরা ঈদের জামাত করেছেন। ক’রো’নার কারণে কর্মহীন হয়ে আর্থিক সং’ক’টের মধ্যে খেয়ে না খেয়ে নানা প্রতিকূলতা মধ্যে কেটেছে প্রবাসীদের দিন তাই ঈদের আনন্দের ছোয়া লাগেনি প্রবাসীদের মাঝে।
এবার ঈদে প্রবাসীদের চোখে মুখে আছে বিষণ্নতা। বিগত বছরগুলোতে প্রবাসীরা ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন একে অন্যের কাছে ছুটে যেত। সারাদিন ঘোরাঘুরি খাওয়া দাওয়া আড্ডার মাঝে ভুলে যেত দেশে প্রিয়জনদের কাছে না থাকার বেদনা।
ক’রো’নার কারণে এইবারের রমজান ও ঈদের চিত্র ছিল পুরোটা ভিন্ন। ৩০ মে পর্যন্ত ল’ক’ডাউন থাকার ফলে ঘর থেকে বাহিরে কোথাও যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
যদিও প্রতিদিন ব্যায়াম ও হাঁটাচলার জন্য বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কা’র’ফিউ শিথিল রাখা হয়েছে। কোনোধরনের যানবান ব্যবহার করা যাবে না।
এই সময় অনেকেই কাজের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করা সুযোগ রয়েছে। নামাজ শেষে কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইমো, হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট ও কলে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দটা ভাগাভাগি করছেন।
সুত্রঃ জাগোনিউজ২৪
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন