১০০ টাকা না দেয়ায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খু’ন

এক শ টাকা চেয়ে না পাওয়ায় বড় ভাই জীবনকে খু’ন করি। আজ শনিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানব’ন্দি দিয়ে এ কথা স্বীকার করেন ছোটো ভাই রাজীব ঘোষ।
রাজধানীর মুগদা থানায় দায়ের করা জীবন ঘোষ হ’ত্যা মা’ম’লায় শনিবার রাজীব ঘোষকে হাজির করা হয় আদালতে। মুগদা থানা পুলিশ তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন জানান। মহানগর হাকিম শহীদুল ইসলাম রাজীবের স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করেন।
আগের দিন রাজীবকে গ্রে’প্তা’র করা হয়। পরে তাকে কা’রা’গারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জীবন ও রাজীব দুই ভাই। বাবা নারায়ণ ঘোষে ব্যবসায়ী। বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘জীবন ফুড ফ্যান্টাসি’-তে কাজ করেন দুই ভাই। রাজধানীর ৯৩/এ এই প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত।
গত ৭ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ওই প্রতিষ্ঠানের ভেতর থেকে জীবনের লা’শ উ’দ্ধার করা হয়। নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ শুক্রবার মুগদা থানায় একটি হ’ত্যা মা’ম’লা দায়ের করেন। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শী কেউ না থাকায় এজাহারে কারো নাম উল্লেখ করেননি।
পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে দোকান ও আশপাশের ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখতে পান জীবনের ভাই রাজীবই এই হ’ত্যা’কাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন।
আর তাই গ্রে’প্তা’র করেন রাজীবকে। গ্রে’প্তা’রের পর তিনি ভাইকে হ’ত্যা’র কথা স্বীকারও করেন। পরে তার জ’বানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লি’পিবদ্ধ করার আবেদন করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, রাজীব স্বেচ্ছায় তার ভাইকে খু’নের কথা স্বীকাপর করেন। তিনি আদালতকে জানান, বৃহস্পতিবার এক সঙ্গে কাজ করছিলেন। সন্ধ্যার দিকে বড় ভাইয়ের কাছে তিনি ১০০ টাকা চেয়েছিলেন।
কিন্তু বড় ভাই টাকা না দিয়ে তাকে গা’লমন্দ করেন। এক পর্যায়ে চ’ড়ও মা’রেন। এতেই ক্ষি’প্ত হন রাজীব। পরে ইট দিয়ে বড় ভাইয়ের মা’থায় কয়েকটি আ’ঘা’ত করেন। এতেই মা’রা যান জীবন।
রাজীব আদালতকে জানান, ভাই মা’রা যাওয়ার পর তিনি দোকানের ভেতর লা’শ রেখে দোকানের শাটার ফেলে তালা লাগিয়ে তিনি বাসায় চলে যান। ইফতারের সময় বাইরে কোনো লোকজন ছিল না। হ’ত্যা’কা’ণ্ডে ব্যবহৃত ইট রাস্তায় ও দোকানের চাবি ড্রেনের মধ্যে ফেলে তিনি বাসায় চলে যান।
সুত্রঃ কালের কন্ঠ
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন