মুক্তিপ’ণের অর্ধেক নিয়েও অপহ’র’ণকারীরা নদীতে ফেলে দিল শিশুকে

প্রকাশিত: মে ৮, ২০২০ / ০৭:৪৭অপরাহ্ণ
মুক্তিপ’ণের অর্ধেক নিয়েও অপহ’র’ণকারীরা নদীতে ফেলে দিল শিশুকে

লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী থেকে অ’প’হৃত নারী-শিশুসহ ১১ জনকে উ’দ্ধার করেছে পুলিশ। তারা ভোলা জেলার যাত্রী ও একই পরিবারের সদস্য। কয়েকজন অপ’হ’র’ণকারী চিহ্নিত হলেও শুক্রবার (৮ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে আ’ট’ক করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে ওই যাত্রীদের আ’ট’কে রেখে ২০ হাজার টাকা মু’ক্তিপণ দাবি করে। এর মধ্যে ১০ হাজার টাকা মু’ক্তি’পণ দেওয়া হয়। এরপরও অপ’হ’র’ণকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে এক শিশুকে নদীতে ফে’লে দেয়।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ট্রলারে ভোলা যাওয়ার পথে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট এলাকা থেকে ওই যাত্রীদের অ’প’হরণ করা হয়। যাত্রীরা ভোলা সদর উপজেলা চরকাচিয়া ও ধনিয়া এলাকার বাসিন্দা।

পরে টহলরত অবস্থা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অ’ভি’যান চালিয়ে শুক্রবার (৮ মে) সকালে নৌ-পুলিশ তাদেরকে উ’দ্ধা’র করে। এ ঘটনায় অপহৃত যাত্রীরা সাত জনের বি’রু’দ্ধে মজুচৌধুরীর হাট ঘাটের নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অ’ভি’যোগ দায়ের করেছেন।

পুলিশ জানায়, ভোলার বাসিন্দা রুহুল আমিন সহপরিবারে ঢাকায় বসবাস করে। তার বাবার মৃ’ত্যু’র খবরে লক্ষ্মীপুর হয়ে ভোলা যাওয়ার উদ্দেশে তারা মজুচৌধুরীর হাট আসে।

কিন্ত ঘাটে কোনো নৌকা না পেয়ে ভোলায় যোগাযোগ করে একটি ট্রলার মজুচৌধুরীর হাট ঘাটে নিয়ে আসে। পরে ট্রলারযোগে ভোলা যাওয়ার পথে মাঝনদী থেকে তাদেরকে একদল লোক অ’প’হরণ করে। এ সময় তাদের মা’র’ধরও করা হয়।

একপর্যায়ে অহ’র’ণ’কারীরা মু’ক্তি’প’ণ হিসেবে ২০ হাজার টাকার দাবি করে। এর মধ্যে ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে দেওয়া হয়। বাকি টাকা দিতে না পারায় লামিয়া নামে এক শিশুকে হ’ত্যা’র উদ্দেশ্যে নদীতে ফেলে দেয় অপ’হ’র’ণ’কারীরা।

অপহৃত রুহুল আমিন স্থানীয়দের সহযোগিতায় চার অপ’হ’র’ণকারীকে শনাক্ত করে সাতজনের বি’রু’দ্ধে নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অ’ভি’যোগ দায়ের করেন।

মজুচৌধুরীর হাট ঘাটের নৌ-পুলিশের ইনচার্জ অচিন্ত কুমার দে বলেন, টহলরত অবস্থা খবর পেয়ে অ’প’হৃতদের উ’দ্ধা’র করা হয়েছে। অ’প’হ’রণকারীদের আ’ট’ক করা সম্ভব হয়নি। তবে অ’প’হ’রণকারী সাতজনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের বি’রু’দ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুত্রঃ কালের কন্ঠ

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন