মুশফিক চোট নিয়েও শ্রীলংকার বিপক্ষে ল’ড়েছিলেন

May 3, 2020 / 08:16pm
মুশফিক চোট নিয়েও শ্রীলংকার বিপক্ষে ল’ড়েছিলেন

বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের উত্থানের পেছনে যে সব কোচদের সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম চন্দিকা হাথুরুসিংহে।

যে দলটি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে পারবে কিনা তা নিয়ে যখন শ’ঙ্কায় অথচ সেই দলকেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন হাতুরুসিংহে।

২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে যদি বি’ত’র্কিত আউটের সিদ্ধান্ত দেয়া না হতো তাহলে হয়তো কোয়ার্টারফাইনালের গণ্ডি পেরিয়ে সহজেই সেমিতে খেলতে পারত বাংলাদেশ।

২০১৮ সালে নিজ দেশের জাতীয় দলের প্রধান কোচের প্রস্তাব পেয়ে হঠাৎ করেই বাংলাদেশের চাকরি ছেড়ে শ্রীলংকায় চলে যান হাথুরুসিংহে। এরপর লংকান দলকে নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশকে হারানোর পর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারায়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত সবশেষ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরিতে শ্রীলংকাকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। মুশফিক সেদিন পাঁজরে চিড় নিয়ে খেলেছিলেন ১৪৪ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস। আর তামিম ব্যাট করেছিলেন ভাঙা আঙুল নিয়ে।

শনিবার তামিম ইকবালের সঙ্গে সেই জয়ের স্মৃতিময় ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরেন মুশফিকুর রহিম। জাতীয় দলের এ নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান বলেন, সেই ম্যাচের আগের দিন আমি ঠিকমতো অনুশীলনও করতে পারিনি।

নেটে ৫-১০টা বল খেলেছি। দেখলাম আমি কোনো বড় শট খেলতে পারছি না। শুধু ডিফেন্স করতে পারছি। যখন ফিজিওর সঙ্গে এক্সরে করাতে গেলাম, চোখ দিয়ে পানি ঝরছিল।

তিনি আরও বলেন, রাতে এক্সরে রিপোর্টে দেখি চিড় ধরা পড়েছে। আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি যে পরের দিন খেলতে পারব। ডিনার শেষে ওষুধ খাওয়ার পর মনে হল এ ম্যাচটা যে করেই হোক আমাকে খেলতে হবে এবং জিততে হবে।

মুশফিকের কথা শেষ না হতেই হাসি মুখে তামিম ইকবাল বলেন, সেদিন আমরা শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলিনি। বাংলাদেশ খেলছিল শ্রীলংকার বিপক্ষে। মুশফিক খেলছিল হাথুরুর বিপক্ষে।

এটা শুধু তুই না, আমাদের সবারই একটা জেদ ছিল। যেভাবে ও চলে গেছে, বা যেভাবে আমরা চাচ্ছিলাম তাকে হারাতে, এমন না যে রাগের মাথায় বলছি, হাথুরু আছে হারাতে হবে। কারণ সে আমাদের ভেতর-বাহির সব জানত।

জাতীয় দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক আরও বলন, আমরা সবাই মন থেকে চাচ্ছিলাম যেন শ্রীলংকাকে হারাতে পারি। কোনো সন্দেহ নেই যে, তিনি খুবই ভালো মানের একজন কোচ ছিলেন।