১৭৭ থেকে ১০৬৩ জন হঠাৎ সুস্থ হওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

বাংলাদেশে করো’না’ভা’ইরাসে আ’ক্রা’ন্ত হওয়ার পর সুস্থ হওয়ার সংখ্যা একদিনের ব্যবধানে ১৭৭ থেকে এক হাজার ৬৩ জন হয়ে গেছে। আজ রোববার সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৮৮৬ জন বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ রোববারের নিয়মিত বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আ’ক্রা’ন্ত হয়েছে ৬৬৫ জন এবং মৃ’তের সংখ্যা দুজন।
সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৬৩ জন। কিন্তু কীভাবে একদিনের ব্যবধানে ১৭৭ থেকে এক হাজার ৬৩ জন এত অল্প সময়ের মধ্যে সুস্থ হলো? তার একটা কারণও জানানো হয়েছে।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, কাদের সুস্থ বলা হবে সে ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া একটি নতুন গাইডলাইন অনুসরণ করা হচ্ছে। সেই গাইডলাইন অনুসরণ করার কারণে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে।
এ বিষয়ে ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ডা. এম এ ফয়েজ জানিয়েছে, আগের গাইডলাইন অনুযায়ী কারও মধ্যে যদি করো’না’ভা’ইরাস পজিটিভ শনাক্ত হতো তাহলে তার ১৪-২১ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্ট করা হতো।
সেখানে ফলাফল নেগেটিভ এলে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অথবা দুই তিন দিনের মধ্যে আরেকটি টেস্ট করা হতো। সেখানেও ফলাফল নেগেটিভ এলে রোগীকে সুস্থ ঘোষণা করে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতো এবং বলা হতো তারা যেন আরো ১৪ দিন বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকে।
এম এ ফায়েজ জানান, নতুন নিয়মে রোগী যদি ক্লিনিক্যালি সুস্থ হয়ে ওঠেন অর্থাৎ পর পর তিন দিন যদি তার আর জ্বর না থাকে, কাশি বা শ্বাসকষ্ট না হয় তাহলে তাকে হাসপাতালে না রেখে বাড়িতে ১৪ দিনের আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বাড়ি থেকেই তার পরবর্তী দুটো পরীক্ষা করা হবে। যেটা কি না আগে হাসপাতালে থেকে করা লাগত।
হাসপাতালে রোগীর চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আজকের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৬৫ জনের মধ্যে করো’না’ভা’ই’রাস শনাক্ত হয়েছে।
এটাই এযাবৎকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক করো’না’ভা’ইরাসে আ’ক্রা’ন্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার ঘটনা। এ নিয়ে মোট আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ৪৫৫ জনে। এই সময়ে করো’না’ভা’ইরাসে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে মা’রা গেছেন দুজন।
ফলে এ নিয়ে বাংলাদেশে কোভিড-১৯-এ মৃ’তে’র সংখ্যা ১৭৭। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ হাজার ৩৬৮টি । বর্তমানে দেশের ৩১টি ল্যাবরেটরিতে করো’না’ভা’ইরাস আ’ক্রা’ন্তদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে ১ মে’র নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয়।
এদিকে মা’রা যাওয়াদের দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছর। আরেকজনের বয়স ৬০ বছরের ওপরে। তাদের একজন রংপুরের বাসিন্দা, আরেকজন নারায়ণগঞ্জের। বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।
আইসোলেশন থেকে ছাড়া হয়েছে ৬০ জনকে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কো’য়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে নয় হাজার ৮৭৪ জনকে। ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ১৪৯ জন।
সুত্রঃ এনটিভি অনলাইন
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন