১০০ কোটি মানুষ করোনাতে আক্রান্ত হতে পারে: আইআরসি

Apr 29, 2020 / 02:51am
১০০ কোটি মানুষ করোনাতে আক্রান্ত হতে পারে: আইআরসি

দু’র্বল অর্থনীতির ও যু’দ্ধ’বিধ্ব’স্ত দেশগুলোকে জরুরি সহায়তা না করলে ম’হা’মা’রী ক’রো’না’ভা’ইরাসে বিশ্বব্যাপী ১০০ কোটি মানুষ আ’ক্রা’ন্ত হতে পারে।

মঙ্গলবার এমন শ’ঙ্কা’র কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি)। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিস।

বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইম্পেরিয়াল কলেজ অব লন্ডনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে করো’না’ভা’ই’রাস নিয়ে একটি প্রতিবেদনে তৈরি করেছে আইআরসি।

তাদের সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের মতো অস্থিতিশীল ও যু’দ্ধ-সং’ঘা’ত কবলিত কয়েক ডজন দেশে ক’রো’না মো’কা’বেলায় এখনই আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।

তা না করলে মহা’মা’রীটির সং’ক্র’মণ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে হাতে সময় খুব কম। ধনী দেশগুলোর শিগগিরই এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

আইআরসির প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডেভিড মিলিব্যান্ড বলেছেন, দাতা দেশগুলো একজোট হয়ে এখনই তহবিল গঠন না করলে অন্তত ৩০ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কে’ড়ে নেবে করোনা। এই সংখ্যাটার কথা ভেবে হলেও আমাদের জাগতে হবে।

তিনি বলেন, এই মহা’মা’রীর সম্পূর্ণ, ধ্বং’সা’ত্মক এবং অপ্রতিরোধ্য ক্ষয়ক্ষতি কিংবা বি’প’র্যয় এখনো বিশ্বের সবচেয়ে ভঙ্গুর অর্থনীতি ও যু’দ্ধ’বিধ্ব’স্ত দেশগুলোতে অনুভূত হয়নি। এই ম’হা’মা’রি থেকে রক্ষা পেতে দাতাদেরকে জরুরিভিত্তিতে এসব দেশকে আর্থিক সহায়তা করতে হবে।

আইআরসির দৃষ্টিতে করোনা সং’ক্র’ম’ণে’র জন্য এসব ঝুঁ’কি’পূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে ইয়েমেন অন্যতম।

এ বিষয়ে একমত আন্তর্জাতিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ)।

সংস্থাটির ইয়েমেন কার্যক্রমের ব্যবস্থাপক ক্যারোলিন সেগুইন বলেন, উন্নয়নশীল বহু দেশেই সরকারি হিসেবে আ’ক্রা’ন্ত ও মৃ’তের সংখ্যা অনেক কম হলেও সত্যিকার অর্থে এ সংখ্যা অনেক বেশি।

আমরা মনে করি যু’দ্ধা’হত দেশ ইয়েমেন এরইমধ্যে ক’রো’নায় আ’ক্রা’ন্ত হয়ে অনেকে মারা গেছেন। তাদের কেউ হাসপাতালে মা’রা যাননি। তাই এ সংখ্যা হিসাবে আসছে না।

প্রসঙ্গত আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ক’রো’না’ভা’ইরাসে আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা ৩১ লাখ ছাড়িয়েছে। মা’রা গেছেন ২ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।

সুত্রঃ যুগান্তর