সিঙ্গাপুর প্রবাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করল প্রধানমন্ত্রী

ক’রো’না দু’র্যো’গে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশী অভিবাসীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রণোদনা চেয়ে সহযোগিতা কামনা করেছেন।
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে প্রথমদিকে করো’না’ভা’ই’রাসে আ’ক্রা’ন্ত রোগী কম থাকলেও ধীরে ধীরে এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভা’ই’রাসটির প্রাদু’র্ভাব কমাতে ইতোমধ্যেই দেশটির সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তবে উ’দ্বে’গের বিষয় হলো, সিঙ্গাপুরে করো’না’ভা’ইরাসে আ’ক্রা’ন্ত রোগীদের অধিকাংশই ডরমেটরিতে থাকা অভিবাসীকর্মী। ডরমেটরিগুলো বড় ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এবং এখন পর্যন্ত চব্বিশটি ডরমেটরি আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আরো উ’দ্বে’গজনক বিষয় হলো, সেখানে অধিকাংশই বাংলাদেশী কর্মীর বসবাস। অল্প সময়ের মধ্যে আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হলো ডরমেটরিতে এক রুমে অনেক অভিবাসীকর্মীর একত্রে থাকা।
ফলে ভাই’রা’সটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশী কর্মীরা বেশি আ’ক্রা’ন্ত হচ্ছেন। এ কারণে বাংলাদেশী অভিবাসীদের মধ্যে আ’ত’ঙ্ক বিরাজ করছে। ইতোমধ্যেই অনেক কর্মী কাজ হারিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ-এর আ’শ’ঙ্কায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
তার ওপর এই দু’র্যো’গ তাদের আ’ত’ঙ্ক বহুগুনে বাড়িয়ে তুলেছে। তারা কবে নাগাদ কর্মক্ষেত্রে যোগদান করতে পারবেন তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। এদিকে দেশে পরিবারের চিন্তায় অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
যদিও সিঙ্গাপুর সরকার অভিবাসী কর্মীদের নানাভাবে সহায়তা দিচ্ছে। এর মধ্যে সময় মতো বেতন পরিশোধ, তিন বেলা খাবার ও চিকিৎসা সুবিধা উল্লেখযোগ্য। এই চরম দু’র্যো’গের দিনে অভিবাসীদের একমাত্র অভিভাবক বাংলাদেশ হাই কমিশন।
কিন্তু সিঙ্গাপুর প্রবাসীদের অ’ভি’যোগ তাদের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। ফলে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তা চাইছেন। তারা মনে করেন, এই বিপদের দিনে বাংলাদেশ সরকার প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে অভিবাসীদের পরিবারকে সহযোগিতা করলে তারা উপকৃত হবেন।
অভিবাসী নুরুল আলম বলেন, ‘একদিকে করো’না’ভা’ই’রাসে আ’ক্রা’ন্তের ভয়, অন্যদিকে চাকরি হারানোর ভয়ে মানসিকভাবে দু’র্ব’ল হয়ে পড়ছি। আমাদের এই বিপদের দিনে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ হাই কমিশন কোনোরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে পাশে দাঁড়ায়নি।’
অভিবাসী সজীব আহমেদ নুরুল আলমের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। আরেক অভিবাসী রকিবুল ইসলাম রকি বলেন, ‘এখানেও বিপদ, দেশেও বিপদ।
পরিবার নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছি। ওভারটাইম না থাকলে শুধু বেসিক বেতন দিয়ে পরিবারে টাকা পাঠানো প্রায় অসম্ভব। সিঙ্গাপুর সরকার শুধু বেসিক বেতন দিচ্ছে। এদিকে এখনো অভিবাসীদের জন্য বাংলাদেশ হাই কমিশন থেকে কোনো আশার বাণী শুনতে পাইনি।’
তবে অভিবাসী কর্মীরা আশাবাদী, তাদের এই বিপদের দিনে প্রধানমন্ত্রী সরকারি প্রণোদনার মাধ্যমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন।
সুত্রঃ রাইজিংবিডি