মিথিলা সব নষ্টের মূলের নাম জানালেন

শিক্ষা ও পেশাগত জীবনের সফলতা, মাখোমাখো প্রেমের দাম্পত্য সুখই নতুন প্রজন্মের কাছে আইকন হিসেবে গড়ে উঠেছিলেন তাহসান-মিথিলা জুটি। সেই আইকনিক জুটির ভা’ঙন বা বি’চ্ছেদ হাজারো ভক্তদের হৃদয় চু’রমার করে দেয়।
তবে এতদিন পর সব নষ্টের মূলের নাম ইনস্ট্রাগ্রামে জানালেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশীদ মিথিলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে উচ্চ শিক্ষিত মিথিলা ব্রাক ইউনির্ভাসিটিতে গবেষক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
আমেরিকা মিনিয়াপোলিস পাবলিক স্কুল ডিসট্রিক্টে কাজ করা মিথিলা এক সময় স্কলাস্টিকায় হাই স্কুল ও নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার ছিলেন।
পেশা হিসেবে উন্নয়নকর্মী মিথিলা ২০০৬ সালে সঙ্গীতশিল্পী তাহসানের সঙ্গে বিয়েতে আবদ্ধ হন।
স্বামীর সঙ্গে মিলিতভাবে বেশ কয়েকটি গানের অ্যালবাম করা মিথিলা নাট্যনির্মাতা ইফতেখার আহমেদ ফাহমি ও অভিনেতা জনের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের গুঞ্জ’ন উঠে।
২০১৭ সালের জুলাইয়ে তাহসানের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের পরেই তার জীবনে যুক্ত হন কলকাতার জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখার্জী। সৃজিতকে বিয়ের পর তাহসানকে ভুলে গেছেন মিথিলা।
মেয়ে আইরা ছাড়া তাহসানকে নিয়ে কোনো মন্তব্য নেই তার। তবে এবার সব নষ্টের মূলের নাম ইনস্টাগ্রামে ফাঁ’স করলেন কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, মডেল, সুরকার খ্যাত এই অভিনেত্রী।
গত মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে আপলোড করা একটি ছবির ক্যাপশনে মিথিলা লিখেন, ‘প্রিয় ফুল? বেলীফুল, প্রিয় গয়না… কানের দুল, প্রিয় মুহূর্ত…তার কাঁধে আমার এলোচুল…কিন্তু সব নষ্টের মূল ওই…বেলীফুল! গন্ধে মনকে উদাস করায়, অকারণে তাকে মনে যে করায় উস্কে দেয়, ভুল ভাবায়! হতচ্ছাড়া বেলীফুল!’
ইনস্টাগ্রামে আবেগী পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। এতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় বইতে থাকে। অনেকে ভক্তই বেলীফুলকে রূপক অর্থেই দেখছেন।