সিঙ্গাপুর করোনা রুখতে দ্রুত অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ করছে

ক’রো’নায় আ’ক্রা’ন্ত রোগীদের সামাল দিতে দ্রুত অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ করছে সিঙ্গাপুর। দেশটির বিভিন্ন প্রদর্শনী কেন্দ্র হলসহ অস্থায়ী স্থাপনাগুলোকে হাসপাতালে রূপ দেওয়া হচ্ছে।
নগর রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের ৫৭ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ১৩ হাজারই ক’রো’নায় আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন। আ’ক্রা’ন্তদের অধিকাংশই স্বল্প বেতনের বিদেশি শ্রমিক।
সিঙ্গাপুরে বিদেশি শ্রমিকদের যেসব ডরমেটরিতে রাখা হয় সেগুলোর পরিবেশ ঘিঞ্জি। এসব ডরমেটরির প্রতিটি কক্ষে গড়ে ১২ থেকে ২০ জন শ্রমিককে থাকতে হয়। দেশটির কয়েকটি ডরমেটরিতে প্রায় তিন লাখ শ্রমিককে থাকতে হয়।
ক’রো’না আ’ক্রা’ন্তদের চিকিৎসার জন্য যে স্থানগুলোকে অস্থায়ী হাসপাতালে রূপ দেওয়া হচ্ছে তার একটি হচ্ছে চাঙ্গি এক্সিবিশন সেন্টার। এখানে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এশিয়ার সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ প্রদর্শনী। এখানে ক’রো’নায় আ’ক্রা’ন্ত ও করোনা থেকে সুস্থ হচ্ছেন এমন চার হাজার মানুষকে রাখা যাবে।
অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণের আয়োজক কমিটির সদস্য জোসেফ ট্যান বলেন, ‘পুরো অবকাঠামো স্থাপনের প্রক্রিয়াটি শেষ করতে ছয় দিন লেগেছে।’
এখানে আট থেকে ১০ জন থাকার জন্য পার্টিশেন দিয়ে একেকটি কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। এসব কক্ষে লোহার বিছানা, কাপড় বা অন্যান্য সামগ্রী রাখার ড্রয়ার ও ফ্যান দেওয়া হয়েছে।
রোগীরা যাতে প্রতিদিন তিনবার নিজেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিজেরাই করতে পারেন সেজন্য প্রত্যেকটি কক্ষে রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ মনিটর ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল কর্মীদের ক’রো’নায় সং’ক্র’মণ কমাতে কক্ষে থাকা রোগীদের খাবার সরবরাহ করবে দূর নিয়ন্ত্রিত রোবট, আর টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে রোগীরা তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা জানাবেন চিকিৎসকদের কাছে। রোগীদের দেহের তা’প’মাত্রা পরিমাপের জন্য এবং ওষুধ সরবরাহের জন্য রোবট কুকুর তৈরি করে এর ট্রায়ালও দেওয়া হয়েছে।
শনিবার প্রথম ব্যাচের রোগী হিসেবে বাংলাদেশি ও ভারতীয় শ্রমিকদের এখানে আনা হয়েছে।
এক্সপো নামের কাছেরই একটি কনফারেন্স সেন্টারে কয়েক শতাধিক ক’রো’না আ’ক্রা’ন্ত’কে রাখা হয়েছে। তানজং পাগার নামের শিপিং-কনটেইনার বন্দরকেও অস্থায়ী হাসপাতালে রূপ দেওয়ার কাজ চলছে। এখানে প্রায় ১৫ হাজার বিদেশি শ্রমিককে রাখা যাবে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
সুত্রঃ রাইজিংবিডি