ওয়াসিম-ওয়াকারের বোলিং তোপে কেঁদেছিলেন শচীন

প্রকাশিত: এপ্রি ২৬, ২০২০ / ১০:৫৭অপরাহ্ণ
ওয়াসিম-ওয়াকারের বোলিং তোপে কেঁদেছিলেন শচীন

ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসার হিসেবে ভাবা হয় পাকিস্তানের সাবেক দুই তারকা পেসার ওয়াকার ইউনুস এবং ওয়াসিম আকরামকে। তাদের বল মো’কা’বেলা করতে রীতিমতো হিমশিক খেতেন সেই সময়ের বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানরা।

১৯৯৯ সালে করাচিতে অভিষেক টেস্টে ওয়াসিম-ওয়াকারের মুখোমুখি হয়ে বেশ অস্বস্তিতে ছিলেন শচীন টেন্ডুলকারের মতো প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান। অভিষেক ম্যাচে মাত্র ১৫ রানেই ওয়াকার ইউনুসের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে কেঁদেছিলেন শচীন।

সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন বলেন, সেদিন আমি খুবই নার্ভাস ছিলাম, আমি আসলে স্কুল ম্যাচ ভেবেই খেলছিলাম। ওয়াসিম এবং ওয়াকার ইউনিসের বি’রু’দ্ধে শুরু থেকে আ’ক্র’মণাত্মক মেজাজে খেলতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। স্কুল জীবনে যেভাবে খেলতাম, সেভাবে ব্যাট করছিলাম।

ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে শততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া শচীন আরও বলেন, ওয়াসিম ও ওয়াকার গতির পাশাপাশি শর্ট ডেলিভারি করছিল। আগে এই ধরনের বোলিংয়ের বিরু’দ্ধে খেলার কোনো অভিজ্ঞতা আমার ছিল না।

তাই স্বাভাবিকভাবেই আমি বেশ অস্বস্তিবোধ করেছিলাম। ওদের গতি ও বাউন্সের কাছে আমি বারবার পরাজিত হচ্ছিলাম। মাত্র ১৫ রানে আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে সোজা বাথরুমের কাছে গিয়ে হতা’শায় কেঁদেছিলাম।

শচীন আরও বলেন, সেদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কী? সে সম্পর্কে কোনো ধারণাই করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল, এটাই আমার প্রথম ও শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে যাচ্ছে।

আমার পরিস্থিতি দেখে রবি শাস্ত্রী এসে বলল, স্কুল ম্যাচের মানসিকতা নিয়ে খেল না, ওরা বিশ্বের সেরা বোলার। তাদের সম্মান করতে হবে। তুমি সবকিছু ভুলে শুধু আধাঘণ্টা ক্রিজে টিকে থাক, তাহলেই হবে।

রবি শাস্ত্রীর পরামর্শে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে ফয়সালাবাদে সফল হন শচীন। সেই টেস্টে ইমরান খানের শিকা’র হওয়ার আগে ৫৯ রান করার সুযোগ পান তিনি।

সেই স্মৃতি স্মরণ করে শচীন বলেন, ফয়সালাবাদে দ্বিতীয় টেস্টে দলে সুযোগ পাওয়ার পরে একটা কথাই মাথায় ছিল স্কোর বোর্ডের দিকে তাকাব না, ঘড়ির দিকে চোখ রাখব। রান করার জন্য তাড়াহুড়ো করব না। যেভাবেই হোক আধাঘণ্টা ব্যাট করে যাব।

সুত্রঃ যুগান্তর

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন