সুস্মিতাকে পেতে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলেন আম্বানী

বিশ্বসুন্দরী। বলিউড দাপিয়েছেন প্রায় দুই দশক। আর বছর পাঁচেক পর তার বয়স হবে ৫০। কিন্তু এখনো বিয়ে থা করিননি ১৯৯৪ মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেন। তার সঙ্গে ভারত ধনকুবের আনীল আম্বানংসম্পরকের কথা খুব চাউড় ছিল একসময়। তাদের সম্পর্ক এতটাই গভীর ছিল, অনিল আম্বানীর সংসার ভাঙতে বসেছিল তখন।
মিস ইউনিভার্স হওয়ার আগে এক অনাড়ম্বর জীবন ছিল হায়দরাবাদের একটি বাঙালি পরিবারে জন্ম নেওয়া সুস্মিতার।যখনই অবসর পেতেন টুকটাক কাজ করে উপার্জন করতেন। এমনকি বাড়ি বাড়ি ভ্যাকুম ক্লিনারও বিক্রি করেন তিনি।বাবা ছিলেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার আর মা ছিলেন জুয়েলারি ডিজাইনার। দুবাইয়ে তার একটি গয়নার দোকানও ছিল।
একবার এক পার্টিতে এক ব্যক্তির কথা শুনে নেহাত কৌতূহলের বশেই মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতার ফর্ম পূরণ করেন সুস্মিতা।১৯৯৪ সালে ঐশ্বরিয়াকে হারিয়ে মিস ইন্ডিয়া হন। ওই বছরই মাত্র ১৮ বছর বয়সে মিস ইউনিভার্স খেতাব জেতেন তিনি।১৯৯৬ সালে বলিউডে যাত্রা করা সুস্মিতাকে শেষবার পর্দায় দেখা গিয়েছিল২০১৫ সালে।
একের পর এক ওপেন সম্পর্কে অভ্যস্ত সুস্মিতার অভিনয়জীবন নিয়ে যত না চর্চা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি চর্চা হয়েছে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে।
একাধিক পুরুষের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার। কখনো রণদীপ হুডা, কখনো মুম্বইয়ের রেস্তোরাঁর মালিক রিতিক ভাসিন, কখনো পরিচালক বিক্রম ভট্ট, তো কখনো তার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট কোনো মডেলের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার।
তবে সবচেয়ে বেশি চর্চা হয়েছিল অনিল অম্বানীর সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে। শোনা যায়, সুস্মিতার প্রেমে অনিল অম্বানী এতটাই পাগল হয়ে গিয়েছিলেন যে, স্ত্রী টিনা মুনিমকে ডিভোর্স দিতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন তিনি। কিন্তু টিনা তাকে ডিভোর্স দেননি। শেষমেশ পরিবারের হস্তক্ষেপে এই সম্পর্ক থেকে সরে আসেন অনিল।
চিরকালই নিজের ছন্দে জীবন কাটাতে পছন্দ সুস্মিতার। তার এত যে পুরুষ-সঙ্গী, কখনো তা গোপন করেননি তিনি।যখনই যার সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে, খোলামেলাভাবে তা এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
এই মুহূর্তে সুস্মিতার প্রেমিক রহমান শল।তকে বিয়ে করবেন কি না তা এখনো জানাননি সুস্মিতা। প্রতিবারের মতো রহমানের সঙ্গে বিয়ের প্রসঙ্গও এড়িয়ে গেছেন। তবে দুই মেয়েকে নিয়ে সুস্মিতা রহমানের সঙ্গে দূরে কোথাও চলে যান ছুটি কাটাতে।
সুস্মিতার দুই মেয়ের কথা শুনে আঁতকে উঠবেন না আবার। ২০০০ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি রেনে নামে এক শিশুকে দত্তক নেন। পরে ২০১০ সালে আরও এক শিশুকে দত্তক নেন তিনি। নাম রাখেন আলিশা।
পরম যত্নে দুই মেয়েকেই বড় করে তুলছেন তিনি। দুই মেয়ের সঙ্গে নিজের ছবিতে ভরে থাকে সুস্মিতার সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল।রহমানের সঙ্গেও রেনে আর আলিশার সম্পর্ক খুব ভাল।