আ’টকে পড়া আরও ৩২৮ বাংলাদেশি দিল্লি ও চেন্নাই থেকে ফিরলেন

ভারতের দিল্লি ও চেন্নাই থেকে আরও ৩২৮ জন আটকে পড়া বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। শুক্রবার দুটি পৃথক ফ্লাইটে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, নয়া দিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশন তথা বাংলাদেশ সরকারের সক্রিয় উদ্যোগ ও সহযোগিতায় তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। দিল্লি থেকে বাংলাদেশ বিমানে ১৬২ জন ও চেন্নাই থেকে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স যোগে ১৬৬ জন দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই চিকিৎসাধীন রোগী। তবে বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন।
দিল্লি থেকে যাত্রার পূর্বে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে দূতাবাস কর্মকর্তাদের একটি দল যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করে।
শনিবার আরও একটি ফ্লাইটে চেন্নাই থেকে ১৬৪ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরার কথা রয়েছে; যাদের অধিকাংশ যাত্রী বেঙ্গালুরু নারায়না হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসে আ’ট’কে পড়েছিলেন।
উভয় দেশের সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আরও ফ্লাইট পরিচালনার ব্যবস্থা করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গত ২৫ মার্চ থেকে ভারতে লকডাউন শুরুর পর নয়া দিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশন এবং কলকাতা, মুম্বাই, গোয়াহাটি ও ত্রিপুরার মিশনগুলোর সহযোগিতায় প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি বিমান ও স্থল পথে দেশে ফিরেছেন। যারা এখনও ভারতে অবস্থান করছেন তাদের দেশে ফেরানোর জন্য বাংলাদেশ হাই কমিশন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উভয় দেশের কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি যথাসময়ে দূতাবাসের ওয়েবসাইট, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে জানানো হবে।
উল্লেখ্য ভারত সরকার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমান, রেল বা গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে। বিদেশ থেকে প্রবাসী ভারতীয়দের প্রত্যাবর্তনের নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে মেনে চলা হচ্ছে। কূটনীতিবিদসহ সকল বিদেশিদের লক’ডাউন সং’ক্রা’ন্ত অনুশাসন মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার প্রবাসে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিদের সমস্যাদি নিরসনে সচেষ্ট রয়েছে।
বিভিন্ন দেশ থেকে অনেকেই দেশে ফিরছেন। আ’ট’কে পড়া সকলকে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ভারতের বাংলাদেশ মিশনগুলো সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে।
তবে উভয় দেশের জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁ’কির কথা বিবেচনা করে সকলকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পরিহার করার জন্য অনুরোধ করেছে দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশন।
সকলকে আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য ধরে স্থানীয় সরকারের নির্দেশাবলী পালনের জন্য আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ হাই কমিশন সকলের সুস্থতা কামনা করেছে।
সুত্রঃ যুগান্তর