কতটা ভয়’ঙ্কর হতে পারে করোনার দ্বিতীয় থাবা?

তারা হু’শিয়ারি দিয়েছেন যে, ক’রো’নার দ্বিতীয় থাবা হবে আরও ভয়’ঙ্ক’র। এতে লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে। দ্বিতীয় ধাপে উপসর্গহীন আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা বেশি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের সেন্টার ফর বায়োলজিকস ইভালুশান অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালক পিটার মার্কস বলেন, করোনা’ভা’ই’রাসের এখনও কোনো প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। আর এ কারণেই আমরা দ্বিতীয় এমনকি তৃতীয় দফা করোনা সুনামির আ’শঙ্কা করছি।
ইউএসএ টুডে জানায়, করো’না’ভা’ইরাস আক্রান্ত রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সুস্থ হওয়ার সঠিক তথ্য কারো জানা নেই। একইভাবে সার্স (সিভিয়ার একিউট রেসপাইরেটরি সিনড্রোম) ও মার্স (মিডল ইস্ট রেসপাইরেটরি সিনড্রোম) আ’ক্রা’ন্ত রোগীরও সুস্থ হওয়ার রেকর্ড রয়েছে।
তবে মানুষ থেকে মানুষে কোভিড-১৯ আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে অনেকে কোনো ধরনের উপসর্গ ছাড়াই আ’ক্রা’ন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে এখনও বিস্তৃতভাবে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়নি। দেশটির আসলে কত শতাংশ মানুষ সুস্থ হয়েছে তা জানা অসম্ভব।
এছাড়া সুস্থ হতে একজন ব্যক্তির কয়েক মাস লেগে যাচ্ছে। এমনকি পুরোপুরি ভা’ই’রা’সমুক্ত হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে যাচ্ছে। এতে আ’ক্রা’ন্ত ব্যক্তি আরও বহু মানুষে সং’ক্র’মিত করতে পারে, যে সংখ্যাটা জানা সম্ভব নয়।
হাভার্ড চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের মহামা’রী বিশেষজ্ঞ মার্ক লিপসিথ বলেন, এর মানে প্রাকৃতিকভাবে আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যাটা অগোচরেই থেকে যাচ্ছে।
মিনেসোটা রাজ্যের রোচেস্টারের মায়ো ক্লিনিকের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক গ্রিগোরি পোল্যান্ড বলেন, যদি এ ভাই’রা’স দ্বিতীয়বার ফিরে এলে আরও ভয়’ঙ্ক’র হবে এবং প্রথমবার মারাত্মকভাবে আক্রান্ত এলাকায় আ’ঘা’ত হানতে নাও পারে।
ক’রো’না’ভাই’রাস শুষ্ক ও ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় বহু দিন বাঁচে। আর ঠাণ্ডা মৌসুমে ফ্লুর প্রাদুর্ভাব ঘটা স্বাভাবিক। এ সময় এ ভা’ই’রাস বহুদিন জীবিত থাকে এবং মানুষ ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে ঘরে ব’ন্দি থাকে।
হাভার্ড চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের সেন্টার ফর কমিউনিকেবল ডিজেজ ডায়নামিকসের মহামা’রী বিশেষজ্ঞ ও অধ্যাপক মাইকেল মিনা বলেন, ‘মানুষ ঘরের বাইরে বের হতে শুরু করলে এ ভাইরাস আবারও ফিরে আসবে কিনা এ নিয়ে সঠিক ধারণা আমার নেই। তবে গ্রীষ্ম মৌসুম আমাদের এটা থেকে পরিত্রাণের সুযোগ আসতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি করো’না’ভা’ই’রাস গ্রীষ্মে চলে যায় আর বর্ষায় এটি আবার পুনজ্জীবিত না হলে আমরা খুবই বিস্মিত হব।’
পোল্যান্ড বলেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো কোভিড-১৯ও অক্টোবর থেকে মে মাসে তাণ্ডব চালাবে এবং অক্টোবর ও নভেম্বরে বেশি ভয়া’ব’হ হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো এটি শীতকালীন সময়ে দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে ঘুরে শীতের মাসে আবার উত্তর গোলার্ধে ফিরে আসবে।
সুত্রঃ যুগান্তর