জার্সি আমিও খুলেছিলাম সেদিন, কিন্তু কেউ দেখেনি!

শিরোনামের এই কথাটা যুবরাজ সিং ফেসবুকে লিখলে বাক্যের শেষে নিশ্চয়ই হাসি ইমো দিতেন। ২০০২ সালে লর্ডসের বিখ্যাত ব্যালকনিতে সৌরভ গাঙ্গুলীর জার্সি ওড়ানো ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা দৃশ্য হয়ে আছে।
যদিও এজন্য শাস্তি পেতে হয়েছিল তাকে। কিন্তু যে খবর সবাই জানে না তা হলো, ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ওই ফাইনাল জয়ের পর সৌরভ একাই জার্সি খুলেননি, তার পাশাপাশি যুবরাজ সিংও একই কাজ করেছিলেন। কিন্তু সেটা ক্যামেরায় ধরা পড়েনি।
ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনাল নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে যুবরাজ বলেন, ‘ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির আগে আমরা ৯-১০টা ফাইনাল হেরে গিয়েছিলাম। সেবার অনেকেই আমরা দলে নতুন ছিলাম। দাদার কাছ থেকে প্রচুর সাহায্যও পেয়েছিলাম।
ম্যাচ জয়ের পর আমিও সেদিন জার্সি খুলে ফেলেছিলাম। কিন্তু সেই শার্টের নীচে আরও একটা সাদা টি শার্ট পরেছিলাম। কারণ তখন ইংল্যান্ডে খুব ঠান্ডা ছিল। আমি যে জার্সি খুলে পেলেছিলাম, কেউ তা দেখতে পায়নি।’
ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড করেছিল ৩২৫ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন সৌরভ আর শেবাগ। ষষ্ঠ উইকেটে যুবরাজ ও মোহাম্মদ কাইফ ১২১ রানের জুটি গড়েন। ৬৩ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন যুবরাজ।
তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৩২৫ রান করায় আমরা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। এই রান তাড়া করা ছিল খুবই কঠিন। আমার বেশ মনে আছে, সচিন আউট হতেই ইংল্যাল্ডের ক্রিকেটাররা উৎসব পালন করতে শুরু করে দিয়েছিল।’
ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই দর্শকরা ধরে নিয়েছিল যে ভারত হেরে যাচ্ছে। তাই গ্যালারি ফাঁকা হতে থাকে। স্মৃতির পাতা উল্টে যুবরাজ বলেছেন, ‘কাইফ ক্রিজে আসতেই ওকে বলি, চল শুরু করি। আমরা দুজনেই বেশ ভালোভাবে প্রান্ত বদল করছিলাম।
আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াও বেশ ভালো ছিল। কারণ আমরা অনূর্ধ্ব ১৯ পর্বে একসঙ্গে খেলেছি। দুজনেই বেশ ভালো খেলছিলাম। আমি অবশ্য একটু বেশি আক্রমণাত্মক ছিলাম।’
যুবরাজ আউট হওয়ার পর মোহাম্মদ কাইফ এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ভারতকে। তার সেই ইনিংসকে ‘জীবনের সেরা’ আখ্যা দিয়ে যুবরাজ বলেন, ‘আমি আউট হওয়ার পরে কাইফ দলের হাল ধরেছিল। সেদিন জীবনের সেরা ইনিংস খেলেছিল কাইফ।
আমারও ইনিংসটাও ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ছিল। সেই সময়ে আমি যদি একটু বুদ্ধির পরিচয় দিতাম, তা হলে হয়তো সেঞ্চুরিও করতে পারতাম। তবে এসব নিয়ে এখন আফসোস নেই। শিরোপা জয়টাই আসল ব্যাপার।’