সেরে ওঠা শ্রমিকদের প্রমোদতরীতে রাখবে সিঙ্গাপুর

Apr 18, 2020 / 12:34am
সেরে ওঠা শ্রমিকদের প্রমোদতরীতে রাখবে সিঙ্গাপুর

বিদেশি শ্রমিকদের জন্য সিঙ্গাপুরের ডরমিটরিগুলো করো’না’ভা’ইরাসের হটস্পট হয়ে ওঠাতেই এ বিকল্প পথ ভাবা হচ্ছে। যদিও প্রমোদ তরীতে ক’রো’না’ভা’ইরাস সং’ক্র’মণ ঠেকাতে হিমশিম খাওয়ার ঘটনা এরই মধ্যে অনেক জায়গায় দেখা গেছে।

জাপানে প্রায় একমাস আ’ট’কে থাকা ডায়ামন্ড প্রিন্সেস প্রমোদতরীতে ৭শ’রও বেশি মানুষ ক’রো’না’ভা’ইরাস আ’ক্রান্ত’ হওয়ার ঘটনা বিশ্ববাসী দেখেছে।

তারপরও সিঙ্গপুরের ট্যুরিজম বোর্ড শুক্রবার ই-মেইলে এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রমোদ তরীগুলোতে চট করেই যে কারো জন্য কক্ষ নেওয়া যায় এবং টয়লেটও কক্ষের সঙ্গেই থাকায় মানুষের সঙ্গে মানুষের সংস্পর্শটাও এড়ানো যায়। সেদিক থেকেই প্রমোদতরীর কথা ভাবা হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, যে সব শ্রমিক করো’না’ভা’ই’রাস থেকে সেরে উঠেছেন এবং পরীক্ষায় ফল ‘নেগেটিভ’ এসেছে তাদের জন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। এতে শ্রমিকদের ডরমিটরিগুলোতে চাপ কমবে।

সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য এরই মধ্যে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী কিছু শ্রমিককে ডরমিটরি থেকে সরকারি বিভিন্ন ভবন, সামরিক ক্যাম্প এবং জাহাজে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।

সিঙ্গাপুরে ক’রো’না’ভা’ইরাস আ’ক্রা’ন্ত ৪ হাজার ৪২৭ জনের প্রায় ৬০ শতাংশই ডরমিটরিতে থাকে। এসব ডরমিটরিতে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রমিকরা এক ঘরেই ১২ থেকে ২০ জন করে থাকে। সেখানকার টয়লেটগুলোও অস্বাস্থ্যকর।

সিঙ্গপুরের ট্যুরিজম বোর্ড বলেছে, গেন্টিং ক্রু্জ লাইনের দুটো প্রমোদতরীর কথা ভাবা হচ্ছে। এ দুটো তরীতে ২ হাজারের মতো মানুষ ধরবে। সেগুলোতে বাতাস চলাচলসহ অন্যান্য নিরাপত্তা এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো ব্যবস্থা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মানুষ একবার সেরে ওঠার পর কিছুটা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠায় আবার সাধারণত সং’ক্র’মক রোগে আ’ক্রা’ন্ত হয় না। যদিও করো’না’ভা’ই’রাসের ক্ষেত্রে সেরে ওঠা রোগীদের আবার আ’ক্রা’ন্ত হওয়ার কিছু ঘটনা এরই মধ্যে দেখা গেছে।

সিঙ্গাপুরে বৃহস্পতিবারই নতুন ৭২৮ জন ক’রো’না’ভা’ই’রাসে আক্রান্ত হয়ে মোট আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪২৭ জনে। এ সংখ্যা আরো বাড়ারই আ’শ’ঙ্কা করা হচ্ছে।

সুত্রঃ বাঙ্গী নিউজ