কোনো ভাবেই রেহাই পেলোনা অষ্টমী

নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রী কুমারী অষ্টমী। প্রায় দেড় বছর হলো সহ্য করছিল উ’ত্য’ক্তের য’ন্ত্র’ণা। গত বছরের ১১ নভেম্বর সহপাঠী গোলাম মোস্তফা ও তার সহযোগীরা অ’প’হ’রণও করেছিল। ওই দিনই পুলিশ উ’দ্ধা’রের পর জে’ল’ও খাটে গোলাম মোস্তফা।
কিন্তু রেহাই দেয়নি। জে’ল থেকে বেরিয়ে আবারও উ’ত্য’ক্ত করতে শুরু করে। শেষমেষ আর স’হ্য করতে পারেনি অষ্টমী। বেছে নেয় আ’ত্ম’ঘা’তি পথ।
রাজশাহীর মোহনপুরের ঘাসিগ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল কুমারী অষ্টমী। বাবা নিমাই সরকার। জানা যায়, রাজশাহীর মোহনপুরে শিক্ষকের সহযোগিতায় প্রতিনিয়ত সহপাঠীর উ’ত্ত্য’ক্তের শিকার কুমারী অষ্টমী গলায় ফাঁ’স দিয়ে আ’ত্ম’হ’ত্যা করেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) নিজ শোবার ঘরে থেকে পুলিশ লা’শ উ’দ্ধা’র করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বড় ভাই উ’ত্ত্য’ক্তকারী সহপাঠী ও সহযোগী স্কুল শিক্ষকসহ সাতজনের বি’রু’দ্ধে মোহনপুর থানায় মা’ম’লা করেছেন।
খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ চারজন আ’সা’মিকে গ্রে’ফ’তর করেছে। এরা হলো- ওই স্কুলছাত্রীর শিক্ষক শরিরত আলী (৪০), ঘাসিগ্রামের দুলাল হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী রুবিনা বেগম (৩৫) ও ইউপি সদস্য ওমর আলী (৪৬)।
পুলিশ জানায়, ওই স্কুলছাত্রীকে সহপাঠী ও পাশের গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে গোলাম মোস্তফা প্রায় দেড় বছর ধরে উ’ত্য’ক্ত করে আসছিল। গতবছর ১১ নভেম্বর প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় গোলাম মোস্তফা ও সহযোগীরা অষ্টমীকে অ’পর’হ’ণ করেছিল।
খবর পেয়ে ওইদিনই পুলিশ অষ্টমীকে উদ্ধার ও অ’প’হ’রণকারী গোলাম মোস্তফাকে গ্রে’ফ’তার করে কা’রা’গারে পাঠায়। কিন্তু জা’মি’নে বেরিয়ে আবারও তাকে উ’ত্য’ক্ত করতে শুরু করে।
তাকে সরাসরি সহায়তা করতেন ঘাসিগ্রাম স্কুলের সহকারী শিক্ষক শরিরত আলী। উ’ত্য’ক্তে অ’তি’ষ্ট হয়ে ওই স্কুলছাত্রী আ’ত্ম’হ’ত্যা করে।মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাক আহম্মেদ জানান, মা’ম’লার অপর তিন আ’সা’মিকে গ্রে’ফ’তারে পুলিশি অ’ভি’যান চলছে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন