দেশে আরো আটজনের ‘করোনা লক্ষণ নিয়ে মৃ’ত্যু’

Apr 16, 2020 / 04:54am
দেশে আরো আটজনের ‘করোনা লক্ষণ নিয়ে মৃ’ত্যু’

ক’রো’না’ভা’ইরাসে আ’ক্রা’ন্ত হওয়ার লক্ষণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরো আটজনের মৃ’ত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ম’র’দেহগুলো এবং সেগুলোর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের বাড়ি ল’কডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার স্থানীয় প্রতিনিধিরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ক’রো’না’ভা’ইরাস সং’ক্র’মণের লক্ষণ নিয়ে এক তরুণের মৃ’ত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে তিনি মা’রা যান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মহসিন উদ্দিন জানান,

ওই তরুণ ঢাকায় একটি বেসরকারি কম্পানিতে চাকরি করতেন। ১০ দিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। তিন দিন ধরে তিনি জ্বর, গলা ব্য’থা ও কাশিতে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁর শ্বাসক’ষ্ট দেখা দেয়। একপর্যায়ে বমির সঙ্গে র’ক্ত বের হয়।

গোপালগঞ্জে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসক’ষ্টে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে গতকাল শিখা রানী ঠাকুর (৫২) নামের এক নারীর মৃ’ত্যু হয়েছে। তিনি মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়নের টিকারডাঙ্গা গ্রামের গোপাল ঠাকুরের স্ত্রী।

ক’রো’নার উপসর্গ নিয়ে শরীয়তপুরে গত মঙ্গলবার রাতে এক নৈশপ্রহরীর মৃ’ত্যু হয়েছে। নড়িয়া উপজেলার ভোজেস্বর ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে ওই বৃদ্ধের মৃ’ত্যু হয়। মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

ময়মনসিংহের ত্রিশালে করো’না’ভা’ইরাস সং’ক্র’মণের উপসর্গ নিয়ে গত মঙ্গলবার এক নারী (৪৫) মারা যান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা নজরুল ইসলাম জানান, ওই নারী দীর্ঘদিন ধরেই টিবি রোগে ভুগছিলেন।

এর ওপর গত কয়েক দিন ধরে শ্বাসক’ষ্ট ও জ্বরে আ’ক্রা’ন্ত ছিলেন। গত মঙ্গলবার সকালে আ’শ’ঙ্কাজনক অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পথে তাঁর মৃ’ত্যু হয়। করোনা আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ থাকায় নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

দিনাজপুরের বিরামপুরে করো’না’ভা’ইরাসে আ’ক্রা’ন্ত হওয়ার লক্ষণ নিয়ে আজিজার রহমান (৩৫) নামের এক ব্যক্তি গত মঙ্গলবার মা’রা গেছেন। সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, ওই ব্যক্তি এর আগে সোমবার দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। মৃ’ত্যু’র সময় তাঁর শরীরে করোনার লক্ষণ ছিল। ওই ব্যক্তির ম’র’দেহ ও পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

বান্দরবানের লামায় গত ২৫ মার্চ থেকে ল;কডাউন চলছে। এর মাঝেই গত মঙ্গলবার করো’না’ভা’ইরাসের উপসর্গ নিয়ে লামা পৌরসভার পূর্ব নয়াপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে আমির হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তি মা;রা গেছেন।

এক সপ্তাহ ধরে তিনি জ্বর ও সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। মা’রা যাওয়া ব্যক্তির সংস্পর্শে আসায় উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের দুটি পরিবার ও ওষুধের দোকান ল’কডাউন করা হয়েছে।

জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসক’ষ্ট নিয়ে শেরপুরে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শহরের চাপাতলি এলাকার গেন্দু মিয়ার ছেলে লাড্ডু মিয়াকে (৩২) গতকাল ভোরে জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃ’ত্যু হয়।

তিনি ফেরি করে চানাচুর-মুড়ি বিক্রি করতেন। ক’রো’না’ভা’ইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক নারীর মৃ’ত্যু হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পী খাতুন (২৮) নামের ওই রোগী মা’রা যান।

সুত্রঃ কালের কন্ঠ