চীন যেভাবে দেশে দেশে ক’রোনা মো’কাবেলার কৌশল শেখাচ্ছে

দেশে দেশে ক’রোনা মহা’মা’রী মোকাবেলার কৌশল শেখাচ্ছে চীন। এক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি ও নিজেদের দেশে ম’হা’মা’রী’বি’রোধী ল’ড়াই থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছে দেশটি।
ইতিমধ্যে ক’রো’নাপীড়িত বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করছেন চীনা চিকিৎসকরা। এমনকি ইউরোপেও।
গত মাসেই চীনের একটি পেশাজীবী চিকিৎসা দল কটি চিকিৎসক দলকে ফিলিপাইনেও পাঠানো হয়েছে। ক’রোনা মো’কা’বেলায় অনুদানের পাশাপাশি বিশ্বের অন্তত ৯০টি দেশে মেডিকেল সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করছে চীন। এর মধ্যে সবচেয়ে প্র’তিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে।
ক’রো’নাপীড়িত দেশগুলোতে চীনা চিকিৎসকরা মূলত কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ, ভাইরাস মো’কা’বেলার নানা কৌশল ও পদক্ষেপ নিয়ে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। কীভাবে অতিদ্রুত সং’ক্র’মণ ও মৃ’ত্যু কমানো যায় তা একরকম হাতে-কলমে শেখাচ্ছেন ডাক্তাররা।
ইউরোপ ও আমেরিকা যখন নিজেদের ক’রো’না সং’ক’ট নিয়ে ব্যস্ত তখন দেশে দেশে চিকিৎসক দল পাঠিয়ে বিশ্বব্যাপী নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে বেইজিং।
চীন ক’রো’না মো’কা’বেলায় সারাবিশ্বের কাছে এখন মডেল বা আদর্শে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
আ’ক্রা’ন্ত শনা’ক্ত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই উহান শহর ল’কডাউন করে দেয় চীন। আ’ক্রা’ন্ত বাড়তে শুরু করলেই হুবেই প্রদেশও ল’ক’ডাউন করা হয়। শুধু উহানে বাস করেন এক কোটি ১০ লাখ মানুষ।
খাদ্য ও ওষুধ ছাড়া সব দোকান, শপিংমল বন্ধ করা হয়। নিতান্ত প্রয়োজনে কুরিয়ারের মাধ্যমে খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। গণপরিবহন, স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়। এরপরের কৌশল আরও কার্যকরী।
ঘরে ঘরে গিয়ে নাগরিকদের পরীক্ষা করেছেন চিকিৎসকরা। ক’রোনা আ’ক্রা’ন্ত শনাক্ত হলেই তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
করো’নাভাইরাস মো’কাবেলায় সহায়তা হিসেবে চীন সরকার বাংলাদেশকেও ১০ হাজার টেস্ট কিট, প্রথম সারির চিকিৎসকদের জন্য ১০ হাজার পিপিই ও এক হাজার থার্মোমিটার দিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগী পাওয়ার আগেই ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ৫০০ টেস্ট কিট পাঠিয়েছিল চীন।
ওই সময়ে ‘বন্ধুত্বমূলক সহায়তা’ হিসেবে চীনাদের জন্য ১০ লাখ হ্যান্ড গ্লাভস, পাঁচ লাখ ফেস মাস্ক, দেড় লাখ মাথার ক্যাপ, এক লাখ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৫০ হাজা’র সু কাভার এবং ৮ হাজার গাউন পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ।
সুত্রঃ যুগান্তর