বিশ্বজুড়ে ল’কডাউনে দেখা দিতে পারে দু’র্ভিক্ষ

ক’রো’না’ভা’ইরাসের তাণ্ড’ব ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে চলমান লক’ডাউনের ফলে ভ’য়াবহ খাদ্য সং’কট সৃষ্টি হতে পারে। পরিণামে দেখা দিতে পারে দু’র্ভিক্ষ। এমনটাই হু’শিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, খাবারের অভাব এখনই তৈরি হয়নি। কিন্তু ল’কডাউনের জেরে যেভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, উৎপাদন এবং পরিবহন বন্ধ হয়ে পড়েছে, তাতেই সং’কট সৃষ্টির সমূহ সম্ভাবনা।
বিশ্বের বহু দেশে সম্পূর্ণরূপে লক’ডাউন চলছে। বন্ধ আন্তর্জাতিক সীমান্ত। আকাশপথ পুরোপুরি বন্ধ। ব্যবসা বাণিজ্যেও হাড়ির হাল। বিমান যোগাযোগও স্থবির হয়ে পড়েছে।
কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে এ স্থবিরতা স্বাভাবিক হতে দু’বছরের মতো সময় লাগতে পারে বলে মনে করছে বৈশ্বিক ভ্রমণবিষয়ক গবেষণা সংস্থাগুলো।
অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ গ্রুপের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ম’হা’মারী নিয়ন্ত্রণ’ এমন ঘোষণার পরও বিশ্বে বিমান যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে টানা দু’বছর সময় লাগবে।
এদিকে করো’না সংকটকালে সারাবিশ্বে প্রয়োজনের তুলনায় ৫০ লাখ ৯০ হাজারেরও বেশিসংখ্যক নার্স কম আছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নার্সের সবচেয়ে বেশি সংকট রয়েছে- আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার দ’রিদ্র দেশগুলোতে৷ ডব্লিউএইচও এই সং’কট সমাধানের পরামর্শও দিয়েছে৷
ডব্লিউএইচওর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মেরুদণ্ড হলেন নার্স৷ ক’রোনার এই ম’হা’মারীতে অনেক নার্স সামনে থেকে ল’ড়াই করে যাচ্ছেন৷’
তিনি বলেন, ‘এ সময়ে তাদের ভূমিকা যে কতখানি অমূল্য, এই প্রতিবেদন সে কথাই আবার মনে করিয়ে দিল৷ একই সঙ্গে এটা স’তর্ক বার্তাও৷ তাই বিশ্বকে সুস্থ রাখতে নার্সদের প্রয়োজনে যথাযথ সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে।’
২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে নার্সদের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৪৭ লাখ হয়েছে৷ তাদের ৮০ শতাংশের বেশি কাজ করেন ওই সব দেশে যেখানে বিশ্বের অর্ধেক মানুষের বাস৷
আগামী ১০ বছরের মধ্যে প্রতি ছয়জনে একজন নার্স অবসর নেবেন৷
সুত্রঃ যুগান্তর