করোনা আক্রান্ত স্বামীর সেবা করেও করোনা হয়নি সাজেদার

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিটে করোনাভাইরাস পজিটিভ শাহ আলমের সংস্পর্শে আসা তার স্ত্রী সাজেদা বেগম (৪০) সুস্থ রয়েছেন।
স্বামীর সাথে এক সপ্তাহ অবস্থান করা ওই নারীর শরীরে ক’রো’না’ভা’ইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। আইইডিসিআরের পরামর্শে তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে রামেক হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আরএমও ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, ক’রোনা পজিটিভ শাহ আলমের (৫০) শরীরের অবস্থা ভালো। সঙ্গে থাকা তার স্ত্রী সাজেদা বেগমের শরীরে করো’না’ভা’ইরাস মেলেনি।
তাদের মেয়ে জামাই রংপুরের বাড়িতে কো’য়ারেন্টিনে থাকায় তার নমুনা সংগ্রহ বা তার সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আগামী ১৫ এপ্রিল শাহ আলমের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহী ল্যাবে পাঠানো হবে।
রংপুরের ধাপ মর্ডাণ মোড় এলাকার শাহ আলম ঢাকার কারওয়ান বাজারে একটি সবজির আড়তের দিনমজুর। গত ২৮ মার্চ রাতে তিনি ট্রাকে কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে ঢাকা থেকে বাড়ির দিকে রওনা হন। পথিমধ্যে তার কাশি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে অন্য যাত্রী এবং ট্রাক চালক-হেলপারের মাঝে করোনাভাইরাস আতঙ্ক দেখা দেয়।
২৯ মার্চ ভোরে ট্রাকটি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে অন্য যাত্রীদের চাপে চালক ও হেলপার শাহ আলমকে নামিয়ে দিয়ে চলে যান। তিনি দীর্ঘক্ষণ সেখানে পড়ে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেননি।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পুলিশ রিকশাভ্যানে তাকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। পরে সেখান থেকে তাকে হৃদরোগী হিসেবে অ্যাম্বুলেন্সে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। দুদিন হৃদরোগ বিভাগ থাকার পর সন্দে’হভাজন ক’রো’না রোগী হিসেবে তাকে আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
তার শরীরের নমুনা রামেক হাসপাতাল ও ঢাকায় আইইডিসিআরে দুদফা পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যায়, তিনি করোনাভাইরাস পজিটিভ। পরে তাকে আইসোলেশনে আলাদা রাখা হয়।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবদুল ওয়াদুদ জানান, ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা হৃদরোগ বিভাগের প্রধানসহ ৫ চিকিৎসক ও ৮ নার্সসহ ১৬ জনকে গত ৩ এপ্রিল হোম কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে।
সুত্রঃ যুগান্তর
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন