গার্মেন্ট মালিকরা ‘শিপিং এজেন্টদের জরিমানা মাফ চায়’

Apr 10, 2020 / 09:08pm
গার্মেন্ট মালিকরা ‘শিপিং এজেন্টদের জরিমানা মাফ চায়’

আমদানি পণ্যভর্তি একটি কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড় নিয়ে নিজের গুদামে নিয়ে গিয়ে কন্টেইনার খালি করতে ১৪ দিন সময় পান একজন আমদানিকারক। এরমধ্যে কন্টেইনার খালি করে শিপিং লাইনকে ফেরত দিতে না পারলে জরিমানা গুনতে হয় আমদানিকারককে।

কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তৈরি পোশাক শিল্প কারখানা বন্ধ থাকায় ওই সময়ের মধ্যে পণ্যভর্তি কন্টেইনারটি ছাড় নিতে পারেননি গার্মেন্ট মালিকরা। এই অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরে আটকা পড়া বিপুল কন্টেইনারে জরিমানা আরোপ হয়েছে। আর ওই কন্টেইনারগুলোর জরিমানা মওকুফ করতে শিপিং এজেন্টকে চিঠি দিয়েছে গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

জানতে চাইলে বিজিএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে গার্মেন্ট শিল্পে বিপর্যয় নেমে এসেছে। সাড়ে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি আদেশ বাতিল/স্থগিত করেছে বিদেশি ক্রেতারা।

এই শিল্পের অস্তিত্ব চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে স্টোর রেন্ট শতভাগ মাফ করে দিয়েছে। শিপিং এজেন্টগুলো তাদের নির্ধারিত ফ্রি টাইমের পর জরিমানা মওকুফ করতে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। আশা করছি তারা আমাদের যৌক্তিক অনুরোধ বিবেচনা করবেন।’

গার্মেন্ট মালিকরা বলছেন, গার্মেন্ট পণ্যের কাঁচামাল এনে চট্টগ্রাম বন্দরে এক মুহুর্ত ফেলে রাখার কোনো অবকাশ নেই। এক ঘন্টা আগে ছাড় করতে আমরা লাভবান হই।

কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সব গার্মেন্ট কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় এবং সেখানে কাঁচামালের প্রয়োজনীয়তা এখন আগের মতো নেই। আমাদের আমদানিকৃত কাঁচামাল গুদামে আনার আগে বিদেশি ক্রেতার অনুমোদন প্রয়োজন।

কারণ তাদের অর্ডারের ওপরই নির্ভর করছে কাঁচামাল আমরা কারখানায় আনবো কি না। এরপরও আমরা চেষ্টা করছি কারখানার নিজেদের গুদামে এসব পণ্য এনে রাখতে। সেজন্য ১৪ দিনের পরও বাড়তি কিছু সময় প্রয়োজন। সময় ছাড় দিলে আমরা পণ্যগুলো এনে গুদামে রাখতে পারবো।

জরিমানা মওকুফের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা সবসময়ই তৈরি পোশাক শিল্পের পাশেই থাকি।

কিন্তু শিপিং এজেন্ট ডেমারেজ চার্জ মওকুফের বিষয়ে আমাদের একক ক্ষমতা নেই। আমরা বিদেশি শিপিং লাইনের দেশীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করি। তবে আমরা বিদেশি শিপিং লাইনগুলোর কেন্দ্রীয় অফিসকে চট্টগ্রাম বন্দরে সংকটের বিষয়টি অবহিত করবো।

ইতোমধ্যে সংগঠনের সদস্যদের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এর বাইরে আমরা নিজ অবস্থান থেকে কেন্দ্রীয় অফিকে প্রকৃত অবস্থা বুঝিয়ে সর্বোচ্চ সুবিধা গার্মেন্টদের জন্য আদায়ের চেষ্টা করবো।

সুত্রঃ কালের কন্ঠ