মেসি-রোনালদো ‘করোনা মোকাবিলায় রোল মডেল’

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে সারা বিশ্ব। প্রতিদিন এই ভাইরাসে প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। এই ভাইরাসের কারণে বন্ধ আছে বিশ্বের সব খেলাধুলা। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল)। মে মাসেও খেলা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এতো কিছুর মাঝে লিগ কতৃপক্ষ আর ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ৩০ শতাংশ বেতন কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুরুতে তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হলেও পরে বাধ্য হয়েই ক্লাবগুলোর কাছ থেকে বেতন কম নিতে হচ্ছে খেলোয়াড়দের। কারণ মাঠে খেলা না থাকার কারণে বিজ্ঞাপন ও টিভি স্বত্ব থেকেও ক্লাবগুলোর টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
কিন্তু বেতন কম নিলেও ঠিকই কর দিতে হচ্ছে ফুটবলারদের। একদিকে ক্লাব বেতন কমিয়ে দিল, অন্যদিকে মাঠের বাইরেও খেলোয়ারদের সব উপার্জন বন্ধ। তাহলে এতো বাড়তি ক্ষতি কীভাবে সামলাবে খেলোয়াড়রা। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভও দেখিয়েছেন অনেক ফুটবলার।
এক্ষেত্রে অবশ্য মেসি-রোনালদোকে রোল মডেল ধরেই এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ অনেকের। তাহলে কি ইপিএল আর অন্যান্য দেশের ক্লাবগুলোর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে? ইপিএলের ক্লাব ব্যক্তি মালিকানাধীন, বিপরীতে বার্সা-রিয়ালের মালিক ভক্তরা। কিন্তু তারপরও মেসির দল তিন মাস পর্যন্ত ৭০% বেতন কম নেবেন ক্লাব থেকে।
পিছিয়ে নেই রোনালদোর ক্লাব জুভান্টাসও। চুক্তি পেছানো সহ মার্চ থেকে শুরু করে এপ্রিল, মে, জুন—এই চার মাসের বেতন নেবেন না রোনালদোরা।
এই চার মাসে পাওয়া অর্থের পরিমার হবে ৯০ মিলিয়ন ইউরো। যা দিয়ে ক্লাবের প্রতিটি কর্মচারীর বেতন দিয়ে নিজেদের ক্ষতি পোশাতে পারবে জুভেন্টাস। এদের দেখে একে একে অনেক ফুটবলারই ক্লাবের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন দুস্থদের জন্যও।
সমস্যায় এখন গোটা বিশ্ব। তাই সবার সহযোগিতা কামনা করেই এগিয়ে যেতে যায় সবাই। বর্তমান প্রজন্মের সেরা দুই ফুটবলার মেসি-রোনালদোকে রোল মডেল বানিয়েই এগিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন ইউরোপের ফুটবল বোদ্ধারা।
সানডে টাইমসকে সাবেক ইংলিশ তারকা ওয়েন রুনি বলেন, ‘সবসময় বলির বকরা হতে হয় ফুটবলারদেরই। শুরুতেই কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ক্লাবগুলোই বাধ্য করে ফুটবলারদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে।’
এমন ভয় ও অনিশ্চয়তার মধ্যে সব সময়ই সমর্থকরা চায় তাদের প্রিয় খেলোয়াড়রা রোল মডেল হিসেবে ভূমিকা রাখুক। যদিও ইংলিশ ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার সেই সম্মানের দাম দিতে পারেননি।
দেশের সরকারী নির্দেশ অমান্য করে যৌনকর্মী নিয়ে রীতিমতো লকডাউন পার্টিতে মেতে ছিলেন তিনি। তবে রোববার এমন খবর প্রচার হবার পর সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।