ইরানে থাকা মায়ের জন্য দু’শ্চিন্তায় মন্দানা

প্রকাশিত: এপ্রি ৫, ২০২০ / ০১:১৪পূর্বাহ্ণ
ইরানে থাকা মায়ের জন্য দু’শ্চিন্তায় মন্দানা

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে ক’রো’না’ভা’ই’রাস। প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। ভারতে ২১ দিনের ‘ল’ক’ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মানুষ হোম কো’য়া’রেন্টিনে আছে। ভ্রমণ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে পরিবার ইরানে থাকায় গভীর উদ্বেগে রয়েছেন ইরানীয় অভিনেত্রী মন্দানা করিমি। যদিও দীর্ঘদিন এ অভিনেত্রী কাজ করছেন ভারতে।

ভারতের বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলিউড বাবল প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক’রো’না পরিস্থিতিতে কঠিন সং’কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন মন্দানা করিমি। তাঁর মা এখন ইরানে। ভ্রমণ বন্ধ হওয়ায় পরিবারের সঙ্গে দেখাও করতে পারছেন না এ নায়িকা। পরিবারের লোকজনের শারীরিক সুস্থতা নিয়েও চিন্তিত তিনি।

হিন্দুস্তান টাইমসকে মন্দানা বলেছেন, দুই সপ্তাহ ধরে ভারতেও কঠিন সংকট যাচ্ছে। অথচ ৬০ দিন ধরে পুরো অবস্থা নিয়ে গভীর উ’দ্বেগের মধ্যে দিন কাটছে তাঁর।

‘হোলির সময় মা আমার সঙ্গে ছিলেন, গেল সাত-আট বছর ধরেই তিনি আসেন। এ বছর আসতে পারেননি (ভারতে)। আমি তাঁকে কিছুই পাঠাতে পারিনি।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ওষুধসহ নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ওঁরা। একমাত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি। সেখানকার (ইরান) অবস্থা সত্যিই খারাপ,’ বলেন মন্দানা।

মন্দানা আরো বলেন, ইরান সরকার পর্যাপ্ত সহায়তা দিতে পারছে না। ‘এমনকি (করোনা) পরীক্ষাও সহজলভ্য নয়। যদি আপনাকে আইসিইউতে নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তবে তারা হাসপাতালে নিয়ে যাবে। আরোগ্য লাভের মতো অবস্থা নেই,’ যোগ করেন তিনি।

ভারতে ল’ক’ডা’উ’নের কারণে মন্দানা নিজেও কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুদের অভ্যাস তাঁর কখনো ছিল না, আর এখন এর জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

‘খাবার মজুদ নিয়ে এখন আমাকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আমি সব সময় ভ্রমণের মধ্যে থাকি। তাই কখনো খাবার মজুদ করতে হয়নি। কীভাবে মুরগির মাংস ও তাজা সবজি সংরক্ষণ করতে হয়, সেসব এখন শিখছি।

এটা একটা শিক্ষাপ্রক্রিয়ার অংশ। আমার ঘরে দুটি কুকুরও আছে। এসব কারণে আমার নতুন জীবন শুরু হয়েছে। সারা দিন ঘরে থাকার অভ্যাসও আমার নেই,’ এই বলে কথা শেষ করেন মন্দানা করিমি।

নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিএনও নিউজের তথ্যমতে, ভারতে এ পর্যন্ত ক’রো’না’য় মারা গেছেন ৭৭ জন এবং আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা দুই হাজার ৯০৬ জন। বিশ্বে এ পর্যন্ত এ ভাইরাসে আ”ক্রান্ত হয়ে মা’রা গেছেন ৬০ হাজারের বেশি মানুষ।

View this post on Instagram

روزگار سختیه برای همه ی مردم دنیا عزیزان، هر کشوری که مردم اش رعایت کنن بیرون نرن از خونه و مسئولینش رسیدگی کنن زودتر از شرِ کرونا خلاص میشن و آسیب کمتری می بینن، توی کشور ما که مسئولین هیچکاری نمیکنن حداقل خودتون رعایت کنید و از خونه هاتون بیرون نرید ،هیچ چیزی بیرون از خونه هامون ارزششو نداره که جونمون و جون خانوادمونو به خطر بندازیم، با بیرون رفتن از خونه جون هم وطن خودمونم به خطر میندازیم، دیر یا زود کرونا از کشورمون میره اما نکته ی اساسی اینه که تا اون زمان چقدر از مردم ما و سرزمین ما قراره از بین برن و ماها عزیزامونو از دست بدیم. الان با موندن تو خونه میتونیم سلامت بمونیم و توی آینده پشیمون نشیم که چرا خودمونو قرنطینه نکردیم. میدونم که تو خونه موندن ممکن سخت باشه ولی راه دیگه ای نداریم چون فعلا این ویروس درمانی نداره، الان فقط درمانش توی خونه موندنِ، توی خونه بمونیم و به آینده ی خوبمون فکر کنیم بهتر از اینکه که بریم بیرون و پشیمون بشیم که چرا رعایت نکردیمو عزیزامونو از دست دادیم، بیایید با خونه موندنمون کمک کنیم هرچه زودتر این بحران تموم بشه. بیایید خرید عید، سفر رفتن و همه اینارو کنسل کنیم تا هرچه زودتر این قضیه تموم بشه، چون اگه همکاری شما مردم نباشه، اگه توی خونه هاتون نمونید ممکن این ویروس تا اخرای خرداد هم توی کشورمون بمونه، پس لطفا بخاطر خودمونم که شده توی خونه هامون بمونیم، عید ما بعد از شکست کرونا، ممنون #کرونا #ایران

A post shared by Mandanakarimi (@mandanakarimi) on

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন