করোনায় ইতালির একটি পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল

স্থানীয়দের কাছে স্বাস্থ্যকর ও প্রাণবন্ত হিসেবে পরিচিতি ছিলো আলফ্রেদো বারতুচ্চির (৮৬) পরিবার। চার সদস্যের এই পরিবারের অবসর কাটতো হৈ চৈ করে। কিন্তু সপ্তাহের ব্যবধানে ইতালির এই পরিবারের সবার মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।
ইতালির করোনাভাইরাসের হটস্পট লোম্বার্দির বোঘেরা শহরে ছিলো তাদের বাড়ি। প্রাণবন্ত এই পরিবারে দুঃস্বপ্ন শুরু হয় ২৭ মার্চ। ওইদিন কোভিড-১৯’ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ৮৬ বছর বয়সী আলফ্রেদোর।
এর কয়েকদিন পরেই করোনাভাইরাস আক্রান্ত দুই ছেলে দানিয়েল ও ক্লদিও-এর মৃত্যু হয়। তখন মা করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখে আইসিইউতে ছিলেন। কিন্তু ১ এপ্রিল পরিবারের শেষ সদস্য ৭৭ বছর বয়সী অ্যাঞ্জেলাকে মৃত্যুর সাথে আলিঙ্গন করায় করোনাভাইরাস। এর আগে একই হাসপাতালে স্বামী-সন্তানসহ অ্যাঞ্জেলা ভর্তি ছিলেন।
ইতালির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, পরিবারের সবাই জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা আন্তোনিও রিকার্দি বলেন, মাত্র সপ্তাহের ব্যবধানে পুরো একটি প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে গেছে। যা কখনো স্থানীয়রা দেখেনি।
এ খবর শুনে সবার চোখে পানি চলে এসেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ইতালিতে ঘটেছে। এর মধ্যে দেশটির করোনা সংক্রমণের হটস্পট লোম্বার্দিতে মৃত্যুর ঘটনা বেশি দেখা যাচ্ছে।
ওয়াল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ইতালিতে এক লাখ ১০ হাজার ৫৭৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৩ হাজার ১৫৫ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৬ হাজার ৮৪৭ জন। করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রন্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে ২ লাখ ১৫ হাজার ৩৬২জন করোনাভাইরাসে আক্রন্ত হয়েছে।
সূত্র : নিউ ইয়র্ক পোষ্ট