মরগান ক’রোনার মধ্যেও খেলা চান!

প্রা’ণ’ঘা’তী ক’রো’না’ভা’ইরাসে বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্বে সব খেলাধুলা। ঠিক কবে নাগাদ ফের মাঠে প্রাণ ফিরবে, তারও ঠিক নেই। এমন কঠিন মুহূর্তে পুরো বিশ্ব লড়ছে ক’রো’না’ভা’ই’রাসের বি’রু’দ্ধে। লড়াই করছে ইংল্যান্ডও। তবুও দেশটিকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক ইয়ান মরগান জানালেন, এ পরিস্থিতির মধ্যেও খেলা চান তিনি।
ইংলিশ অধিনায়ক মনে করেন, ক’রো’না’ভা’ই’রা’সের কারণে ঘরে ব’ন্দি মানুষের জন্য হলেও মাঠে খেলা ফিরিয়ে আনা দরকার। তাহলে ল’কডাউন অবস্থায় মানুষ খেলা দেখে সময় কাটাতে পারে।
এ কঠিন পরিস্থিতিতে খেলাই বিশ্বকে প্রাণচঞ্চল করে তুলতে পারে বলে মনে করেন মরগান। বন্ধ স্টেডিয়ামে খেলা হোক, তবুও খেলতে চান ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে মরগান বলেন, ‘এমন অবস্থায় বেশি ক্রিকেট ম্যাচ খেলার চেষ্টা করা উচিত। আমি মনে করি, খেলোয়াড়েরা খেলতে চাইবে। আমি অবশ্যই খেলতে চাইব। কারণ, খেলাধুলা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে পারে।
বিচ্ছিন্ন সময়টা মানুষের মন অলস হয়ে যায়। খেলাধুলা যে মঞ্চ তৈরি করবে, যে প্রত্যাশার জায়গা তৈরি করবে, সেটা মানুষকে আবার ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসার অনুভূতি এনে দিতে পারে। যদি এমন কিছু করা যায়, তাহলে আমি মনে করি বড় পদক্ষেপ হবে।’
অবশ্য খেলা যে এখন প্রায় অসম্ভব, সেটার বাস্তবতাও বোঝেন মরগান। তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে সবকিছুই অনিশ্চিত। এ সময়ে আমাদের খেলা নিয়ে, কখন প্রথম ম্যাচ খেলতে পারব কিংবা কত ম্যাচ খেলতে পারব, এসব চিন্তা করাটা বাস্তবসম্মত নয়। ম’হা’মা’রির প্রকোপটা একটু কমুক, তারপর না হয় দেখা যাবে।’
এদিকে, মরগানের সতীর্থ জস বাটলার করোনা মো’কাবিলায় তহবিল সংগ্রহের জন্য নিলামে তুলেছেন বিশ্বকাপ ফাইনালের জার্সি। অনলাইনে এ নিলাম শুরুতেই বাড়ছে জার্সির দাম। বিষয়টি নিয়ে সতীর্থকে প্রশংসায় ভাসালেন মরগান।
তিনি বলেন, ‘তার (বাটলার) জার্সিটি প্রচুর অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা যাবে। এটি করা উচিত, এটা দিয়ে অনেককে সাহায্য করা যাবে। কাজটি সে দারুণ করেছে।’
চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া ক’রো’না’ভা’ইরাস সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা নয় লাখেরও বেশি বলে জানিয়েছে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বার্তা সংস্থা বিএনও নিউজ। ক’রো’নায় মৃ’তের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ৪৭ হাজার ২৪৫ জনে।
বাংলাদেশও পেয়েছে ক’রো’নার দুঃসংবাদ। গতকাল বুধবার পর্যন্ত বাংলাদেশের ক’রো’নায় আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা ৫৬ জন ও মোট মৃ’তের সংখ্যা ছয়জন।