করোনাভাইরাস মহামারী এশিয়ায় কবে শেষ হবে?

করোনাভাইরাসের কারণে এখন বিশ্বব্যাপী জনজীবন বিপর্যস্ত। ভারতসহ এশিয়ার অনেক দেশই এজন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাস মহামারী শেষ হবে কবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে নানা কৌতুহল রয়েছে।
এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদেনে বলা হয়, এশিয়া অঞ্চলে করোনার মহামারি শেষ হতে এখনও অনেক দেরি বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা মনে করছেন, করোনা মোকাবিলায় এশিয়া মহাদেশীয় অঞ্চলে নেয়া পদক্ষেপগুলো কেবল ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমাতে সাহায্য করছে। এতে করে গণসংক্রমণ ঠেকানোর জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময় পাওয়া যাচ্ছে।
ডব্লিউএইচওর পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক তাকেশি কাসাই বলেন, অনেক পদক্ষেপ নেয়ার পরও মহামারি চলাকালে এ অঞ্চলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবেই।
তিনি আরও বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলি। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এ মহামারি শেষ হতে এখনও অনেক দেরি। এটি একটি দীর্ঘকালিন লড়াই হতে যাচ্ছে। আমরা কিছুতেই অসতর্ক হয়ে বসে থাকতে পারি না। বড় ধরনের গণসংক্রমণ রোধ করতে সব দেশকে প্রস্তুত হতে হবে।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে শুরু এ ভাইরোসের প্রাদুর্ভাব বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলেছে। একই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত ইউরোপীয় দেশ ইতালি ও স্পেন। দেশ দুটিতে মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
ইতালিতে এখন পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন ১১ হাজার ৫৯১ জন। ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি স্থান চীনকেও পেছনে ফেলেছে স্পেন। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭১৬ জন।
চীনে ৩ হাজার ৩০৫ ফ্রান্সে ৩ হাজার ২৪ জন। ইরানে ২ হাজার ৭৫৭ জন; আর যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ১৪৮ জন। যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ৪০৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলাব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।