করোনাভাইরাস বিশ্বকে খাদ্য সংকটে ফেলতে পারে

জাতিসংঘের আশঙ্কা মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্ক তাকে লাগামহীন কেনাকাটায় বাধ্য করেছে কিন্তু ভবিষ্যতে এধরনের কেনাকাটা সম্ভব নাও হতে পারে বাজারে ফসলের সংকট ও হাতে পয়সা থাকার অভাবে।
করেনাভাইরাসকে সামনে রেখে বিভিন্ন দেশের সরকার যদি কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থায় নজর না দেয় তাহলে খাদ্য ছাড়াও সব্জী ও ফলের জন্যে সংকটে পড়তে পারে বিশ্ব। গার্ডিয়ান
বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ফাও’য়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সিমো টোরেরো বলেছেন বিভিন্ন দেশের সরকার ইতিমধ্যে খাদ্য রফতানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করছে। টয়লেট পেপার মজুদের মত অনেকে খাদ্য মজুদ করছেন। এতে খাদ্য সরবরাহ ও যোগানের পথে যে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে তা মারাত্মক এক সংকট সৃষ্টি করবে যা খুব শীঘ্রই টের পাওয়া যাবে।
রাশিয়া গত ২০ মার্চ থেকে গম সহ অন্যান্য ফসল ১০দিনের জন্যে রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। এর প্রতিবেশি দেশ কাজাখাস্তান গম, আটা, চিনিসহ বিভিন্ন ধরনের সব্জী ও সূর্যমুখী তেল রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। আরটি
ফাও বলছে এধরনের পদক্ষেপ বিশ্বে খাদ্যের সংকট শুরু হওয়ার ইঙ্গিত। ফাও
আরেক সংকট হচ্ছে ফসলের মাঠ থেকে শস্য আহরনের জন্যে পর্যাপ্ত লোকবলের অভাব। কারণ করোনাভাইরাসের কারণে অনেকে মাঠে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
বিভিন্ন দেশ সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ইউরোপ বিশেষ করে ফ্রান্স, স্পেইন, ইতালির কৃষকরা বলছে ফল পাকতে শুরু করলেও তা আহরণের জন্যে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। দি লোকাল
কিছুদিনের মধ্যে স্ট্রবেরি, এ্যাসপারাগাস, টমেটো, পিঁয়াজ তোলা শুরু হবে এবং লোক পাওয়া না যাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে। জার্মানিতে ৩ লাখ শ্রমিক ঘরে বসে আছে এবং ফসল তোলার জন্যে ছাত্রদের রাজি করাতে পারছে না কৃষি ফার্মগুলো। ব্লুমবার্গ