করোনাভাইরাস: তেজগাঁওয়ে হাসপাতালের কাজ স্থানীয়দের বাধার মুখে বন্ধ

Mar 28, 2020 / 09:39pm
করোনাভাইরাস: তেজগাঁওয়ে হাসপাতালের কাজ স্থানীয়দের বাধার মুখে বন্ধ

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণ করছে আকিজ গ্রুপ। কিন্তু রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আকিজ গ্রুপের এ হাসপাতাল নির্মাণের কাজে বাধা দিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর ও কতিপয় ব্যক্তি।

শনিবার দুপুর ১টার দিকে লোকজন কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থান নেয় ও প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, শিল্প এলাকার ১৮৪ নম্বর প্লটে নির্মাণাধীন হাসপাতালের লোকজন আসার পর সেখানে আসেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিউল্লাহ শফি।

তিনি তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগেরও সভাপতি। তিনি বলেন, এখানে করোনাভাইরাসের আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল হবে শুনে লোকজন ভিড় করেছিলেন। আমি এসে তাদের শান্ত করি।

স্থানীয় লোকজনকে তিনিই এখানে নিয়ে এসেছিলেন, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শফিউল্লাহ শফি বলেন, এ লোকজন আমার নয়, তারা স্থানীয়। আমিতো সারা দিন আর্মির সঙ্গে মানুষকে সচেতন করার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এখানে লোকজন জড়ো হয়েছে জেনে আমি এসে তাদের শান্ত করি।

কিন্তু হাসপাতালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, স্থানীয় কাউন্সিলর নিজেই লোকজন জড়ো করছেন এবং তাদের ভুল বুঝিয়ে হাসপাতালের কাজ যাতে করতে দেয়া না যায় এর জন্য কাজ করছেন।

সূত্রটি জানায়, আকিজের লোকজন স্থানীয়ভাবে কারও সঙ্গে বিরোধে যাবে না। হাসপাতালটি নির্মাণ করা হচ্ছে মানুষের স্বার্থে। তাই আকিজের পক্ষ থেকেও বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে কিভাবে সম্পন্ন করা যায় তার দিকেই জোর দেয়া হবে। হাসপাতাল নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে না বলেও জানায় সূত্রটি।

তেজগাঁও থানার এসআই রুহুল আমিন বলেন, স্থানীয়ভাবে লোকজন জড়ো হন। তবে তারা কারও নেতৃত্বে এসেছিলেন কিনা সেটা বলতে পারব না। লোকজন জড়ো হয়েছিলেন, আবার চলেও গেছেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ৩০১ শয্যার একটি হাসপাতাল তৈরি করছে আকিজ গ্রুপ। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আকিজের নিজস্ব দুই বিঘা জমিতে হাসপাতালটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

এ হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক কামরুল হাসান খান বলেন, আকিজের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তাদের সরকারিভাবেও সর্বাত্মক সহযোগিতা করা উচিত। স্থানীয় লোকজনকে মোটিভেটেট করা উচিত সরকারিভাবেই। তাদের বোঝাতে হবে এক মিটারের মধ্যে সংস্পর্শতায় না এলে এ জীবাণু ছড়ায় না।