রাজশাহীতে নারীর ‘করোনার পরীক্ষার’ আগেই মৃত্যু

করোনাভাইরাস পরীক্ষার আগেই জ্বর-সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নারীর (৪৬) মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে এ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী মারা যান।
ওই নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। এ অবস্থায় করোনা পরীক্ষার আগেই তার মৃত্যু হল।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার কোনো কিটস না থাকায় এমন অনেক রোগীরই পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌডালার এক ইটভাটা শ্রমিকও সর্দি, জ্বর, কাশি ও ভীষণ শ্বাসকষ্টসহ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন। এই শ্রমিকের নাম জানা যায়নি।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, এই রোগীর জ্বর-সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের স্বাভাবিক রোগী ছিলেন। এরপরও তার নমুনা সংগ্রহের জন্য রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তার সময় মতো নমুনা সংগ্রহের আগেই রোগী মারা গেছেন।
বুধবার সকালে তার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে চলে যান।
রামেকের আইসিইউর ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, এ রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরীক্ষা না করার কারণে মৃত রোগী সন্দেহজনক হয়েই থাকলেন।
আইসিইউ ইনচার্জ আরও বলেন, মৃতের স্বজনরাও বলতে পারছেন না- তিনি করোনাভাইরাসবহনকারী কারো সংস্পর্শে গিয়েছিলেন কিনা। এটা নিয়ে তারা একটা শঙ্কায় আছেন। এ জন্য ওই নারীর চিকিৎসায় নিয়োজিত এই ইউনিটের দায়িত্বরত সব চিকিৎসক ও নার্সের সুরক্ষা পোশাকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদেরও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, রাজশাহীর কাটাখালি এলাকার ৪৬ বছর বয়সী ওই নারী গত ২০ মার্চ জ্বর-সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রামেক হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ২২ মার্চ আইসিইউতে নেয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।