জোভিচ আইসোলেশনে না থাকলে ‘গ্রেফতার’ হতে পারেন

করোনাভাইরাসের কারণে সেল্ফ আইসোলেশনে রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড লুকা জোভিচ। তবে এরই মধ্যে কোয়ারেন্টিন নিয়ম ভঙ্গ করেছেন তিনি। কিন্তু যদি এ নিষেধাজ্ঞা পুনরায় অমান্য করেন, তা হলে তাকে ‘গ্রেফতার’ করা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন সার্বিয়ান প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার ভুসিচ।

গেল বৃহস্পতিবার রিয়ালের মেডিকেল বিভাগের অনুমতি নিয়ে সার্বিয়ায় উড়ে গিয়েছিলেন জোভিচ। নিয়মানুসারে বাড়ি ফিরে তার আইসোলেশনে থাকার কথা, রয়েছেনও বটে। কিন্তু এক ফাঁকে সতীর্থ সিরি-বি লিগের ক্লাব আসোলির খেলোয়াড় নিকোলা নিনকোভিচের সঙ্গে বেলগ্রেডে ঘোরাঘুরি করেছেন তিনি।

পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে ভুসিচ বলেন, এখন নিনকোভিচ হোটেলে এবং জোভিচ অ্যাপার্টমেন্টে রয়েছেন। কেউ যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে ফের বের হন, তাহলে তাদের ‘গ্রেফতার’ করা হবে।

অবশ্য ইতিমধ্যে দু:খ প্রকাশ করেছেন তারা। এ পরিস্থিতিতে তাদের বুঝতে হবে, মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সবার আগে প্রাধান্য পাবে। এ মুহূর্তে এ বিষয়টি ছাড়া অন্য কোনও ব্যাপারে আমরা কাউকে কিছুই বলব না।

গেল সপ্তাহে মাদ্রিদের এক বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের দেহে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়। এরপর থেকে সব ফুটবল খেলোয়াড়কে সেল্ফ আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

গেল গ্রীষ্মে এইনট্যাখ ফ্র্যাংকফুর্ট থেকে ৬০ মিলিয়ন ইউরোতে রিয়ালে যোগ দেন জোভিচ। এরপর মাত্র দুই গোল করেছেন তিনি। স্বভাবতই মানসিকভাবে খুব একটা স্বস্তিতে নেই এ স্ট্রাইকার। যে কারণে লস ব্লাঙ্কোদের চিকিৎসকরা চিন্তা করেছেন, দেশে ফিরে গেলে তিনি হয়তো কিছুটা ভালো অনুভব করবেন।

জোভিচ অবশ্য ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। জানিয়েছেন সঠিক পরামর্শ পাননি তিনি। এ সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়া ইন্সটাগ্রামে ২২ বছর বয়সী ফুটবলার লিখেছেন, স্পেনে থাকার সময় আমার করোনাভাইরাস নেগেটিভ ধরা পড়ে।

যে কারণে পরিবারের কাছে থাকার জন্য আমি সার্বিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। দেশে নেমেও আমার শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব নেগেটিভ ছিল। স্পেনে আমার ফার্মেসি ও সুপারশপে যাওয়ার অনুমতি ছিল। এখানে এসেও আমার কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দরকার ছিল। যেজন্য বাইরে গিয়েছিলাম। আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি। আশা করছি, সবাই মিলে পুরো পরিস্থিতি দ্রুতই কাটিয়ে উঠতে পারব।