জানা গেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগীরদের পরিচয়

Mar 19, 2020 / 04:10pm
জানা গেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগীরদের পরিচয়

বাংলাদেশে আরো ৩ জনের মধ্যে করোনাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ১৭ জন। বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

নতুন আক্রান্তদের মধ্যে দুজন পুরুষ। একজন নারী। নারীর বয়স ২২। পুরুষদের একজনের বয়স ৬৫, অপরজন ৩২। তার তিনজনই একই পরিবারের সদস্য। এরা সবাই স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত। তবে তারা ইটালিফেরত প্রবাসীদের সংস্পর্শে এসেছিলেন যিনি আগেই আক্রান্ত হয়েছেন।

ভারতে করোনা থেকে বাঁচতে গোমূত্র খেয়ে অসুস্থ শিবু : ক’রোনা-আ’তঙ্কে ‘গো-আরক’ খেয়েছিলেন। গ’লা ও বুকে ব্যথা নিয়ে আপাতত কলকাতার পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামের শিবু গরাইয়ের ঠাঁই হয়েছে জে’লা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। মেডিসিন ওয়ার্ডে জায়গা মেলেনি। তাই মেঝেই ভরসা। এখন শিবু অবশ্য বলছেন, ‘‘খুব ভু’ল করেছি। ক’রোনা ঠে’কাতে আমার মতো আর কেউ যেন গোমূত্র পান না করেন।’’

ঝাড়গ্রাম শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের জামদা এলাকায় থাকেন শিবু। বাড়িতেই কাপড়ের দোকান রয়েছে তাঁর। স্ত্রী, দুই ছেলে নিয়ে সংসার। কয়েক দিন আগে বন্ধুদের সঙ্গে মায়াপুরে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার সময়ে সেখান থেকে ১৮০ টাকা দিয়ে কিনে আনেন গোমূত্রের শিশি। তাতে লেখা ‘গো-আরক’।

বছর বিয়াল্লিশের শিবু জানান, বিক্রেতা জানিয়েছিলেন, এক থেকে দুই ছিপি ওই ‘গো-আরক’ নিয়মিত খেলে শরীরের র’ক্ত দোষ কাটে। ক’রোনা-সহ নানা রকম শা’রীরিক ব্যাধি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। ক’রোনা-ভ’য় কা’টাতে বিশ্বাস করেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ছিপি গোমূত্রের আরক খেয়েছিলেন শিবু। তার পরেই শরীরে নানা অস্বস্তি শুরু হয়। গ’লা ও বুক জ্ব’লতে থাকে। শিবুকে পরিবারের সদস্যরা নিয়ে যান ঝাড়গ্রাম জে’লা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। শা’রীরিক অবস্থা দেখে শিবুকে ভর্তি করে নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বুধবার শিবু বলেন, ‘‘পরিবারে আমিই রোজগারকারী। তাই আমার ক’রোনা হলে ব্যবসা লাটে উঠবে, এমন আ’শঙ্কাতেই গোমূত্রের আরক খেয়েছিলাম। অন্ধবিশ্বাসে ভে‌বেছিলাম, প্রতিষেধকের কাজ করবে। অ’সুস্থ হয়ে বুঝেছি কী ভু’ল করেছি।’’ হাসপাতাল সূত্রের খবর, শিবুর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হচ্ছে। এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।

সূত্র: আনন্দবাজার