রাসূলের (সা.) রোগ সংক্রমণ ও মহামারী নিয়ে যে নির্দেশনা দিয়েছেন

ছোঁয়া’চে রো’গ বা রো’গের সং’ক্র’মণ নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে হাদিসে নি’ষেধ করা হয়েছে। আমরা বাস্তবেও দেখতে পাই যে, রোগীর কাছে, বা চারপাশে থেকেও অনেক মানুষ সুস্থ রয়েছেন।
আবার অনেক সত’র্কতার পরেও মানুষ আ’ক্রা’ন্ত হচ্ছেন বিভিন্ন রোগে। বস্তুত শুধু রোগজীবাণুর সংক্রমনেই যদি রো’গ হতো তাহলে আমরা সকলেই অসুস্থ হয়ে যেতাম; কারণ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রকারের রো’গ’জী’বাণু আমাদের দেহে প্রবেশ করছে।
রো’গ’জী’বাণুর পাশাপাশি মানুষের দে’হের রো’গ প্র’তি’রোধ ক্ষ’মতা, রো’গ জী’বা’ণুর কর্মক্ষমতা ইত্যাদি অনেক কিছুর সমন্বয়ে মানুষের দেহে রো’গের প্রকাশ ঘটে।
আবূ হুরাইরা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) বললেন, সংক্রমনের অস্তিত্ব নেই। তখন এক বেদুঈন বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আমার উটগুলো হরিনীর ন্যায় সুস্থ থাকে। এরপর একটি চর্মরোগে আক্রান্ত উট এগুলোর মধ্যে প্রবেশ করার পরে অন্যান্য উটও আ’ক্রা’ন্ত হয়ে যায়।
তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) বলেন, তাহলে প্রথম উটটিকে কে সং’ক্র’মিত করল? (বুখারী, আস-সহীহ ৫/২১৬১, ২১৭৭; মুসলিম, আস-সহীহ ৪/১৭৪২।
পাশাপাশি সং’ক্র’মনের বিষয়ে স’ত’র্ক হতেও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, অসুস্থকে সুস্থের মধ্যে নেয়া হবে না (রুগ্ন উট সুস্থ উটের কাছে নেবে না)। (বুখারী, আস-সহীহ ৫/২১৭৭; মুসলিম, আস-সহীহ ৪/১৭৪২-১৭৪৩)
‘যদি তোমরা শুনতে পাও যে, কোনো জনপদে প্লেগ বা অনুরূপ ম’হা’মারীর প্রা’দুর্ভাব ঘটেছে তবে তোমরা তথায় গমন করবে না। আর যদি তোমরা যে জনপদে অবস্থান করছ তথায় তার প্রাদুর্ভাব ঘটে তবে তোমরা সেখান থেকে বের হবে না। (বুখারী, আস-সহীহ ৫/২১৬৩; মুসলিম, আস-সহীহ ৪/১৭৩৮, ১৭৩৯)
এভাবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) প্রায় দেড় হাজার বৎসর পূর্বে সং’ক্র’মন প্রতিরোধে বি’চ্ছি’ন্নকরণ (quarantine) ব্যবস্থার নির্দেশনা প্রদান করেন।
মুমিন বিশ্বাস করেন যে, সকল বিষয়ের ন্যায় রো’গের ক্ষেত্রেও আল্লাহর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এজন্য সংক্রমনের ভয়ে অ’স্থির বা দু’শ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
পাশাপাশি যে সব রোগের বিস্তারে সং’ক্র’মন একটি উপায় বলে নিশ্চিত জানা যায় সে সকল রোগের বিস্তার রোধের ও সংক্রমন নিয়ন্ত্রনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন